কার্বলিক এসিড হাতে পড়লে করণীয়
কার্বলিক এসিড হাতে পড়লে করণীয় আছে। যেগুলো না করলে হাতের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের কার্বলিক এসিড ব্যবহারের পূর্বে কার্বলিক এসিড হাতে পড়লে করণীয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আপনাদের সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেলে কার্বলিক এসিড হাতে পড়লে করণীয় আলোচনা করা হলো।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে কার্বলিক এসিড হাতে পড়লে করণীয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে কার্বলিক এসিড হাতে পড়লে করণীয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কনটেন্ট সূচিপত্রঃ কার্বলিক এসিড হাতে পড়লে করণীয়
- কার্বলিক এসিড হাতে পড়লে করণীয়
- কার্বলিক এসিডের ক্ষতিকর দিক
- কার্বলিক এসিড সাপ তাড়াতে
- কার্বলিক এসিড ব্যবহারের নিয়ম
- কার্বলিক এসিড যুক্ত সাবান
- কার্বলিক এসিড কোথায় পাওয়া যাবে
- কার্বলিক এসিড সংকেত
- কার্বলিক এসিড হাতে পড়লে করণীয়ঃ উপসংহার
কার্বলিক এসিড হাতে পড়লে করণীয়
আমরা সকলেই এসিডকে এড়িয়ে চলি কিন্তু কখনো আমাদের অনিচ্ছায় আমাদের হাতে অথবা শরীরের অন্য জায়গাতে কার্বলিক এসিড পড়ে যায়। কার্বলিক এসিড হাতে পড়লে করণীয় কি করতে হবে এ বিষয় সম্পর্কে আমাদের জেনে থাকা উচিত। শরীরের কোথাও এসিড পড়লে ক্ষতস্থানে পানি লাগালে ক্ষতি হবে এরকম ধারনা অনেকের রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ মাসে ২০-৫০হাজার টাকা আয় করার সেরা ১০ টি উপায়
কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণরূপে ভুল কার্বলিক এসিড হাতে পড়লে করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন। শরীরের যেখানে এসিড লাগবে অর্থাৎ আপনার যদি হাতে এসিড পড়ে তাহলে সেখানে অনবরত পানি ঢেলে যেতে হবে। এসিডে আক্রান্ত থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত ক্ষতস্থানে পানি দিতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পানি ছাড়া অন্য কোন কিছু দেওয়া উচিত নয়।
আপনার হাতে যদি কার্বলিক এসিড পড়ে যায় এবং আপনার কাপড় থাকে তাহলে তার উপরেই পানি ঢালতে থাকতে হবে এবং আস্তে আস্তে কাপড়টিকে হাত থেকে সরাতে চেষ্টা করতে হবে। অন্য কারো পরামর্শ অনুযায়ী হাতে কোন রকমের মলম বা অন্য কোন ওষুধ লাগানোর চেষ্টা করবেন না।
কার্বলিক এসিডের ক্ষতিকর দিক
যে জিনিসের উপকারিতা রয়েছে তার কিছু অপকারিতা থাকাটা স্বাভাবিক। এসিডের ক্ষতিকর দিক রয়েছে। বিশেষ করে আমাদের মাটির বেশি ক্ষতি করে থাকে কার্বলিক এসিড। যদি কার্বলিক এসিড হাতে পড়ে যায় তাহলে কার্বলিক এসিড হাতে পড়লে করণীয় গুলো করতে হবে। কার্বলিক এসিডের ক্ষতিকর দিকগুলো জেনে নিন।
১। এসিড যদি মানুষের শরীরে পড়ে তাহলে চামড়া পুড়ে যেতে পারে।
২। যদি কখনো মানুষের চোখের ভেতরে পড়ে তাহলে চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৩। চেহারায় পড়লে চেহারা বিকৃতি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৪। এসিড মাটির অম্লতা বাড়িয়ে দেয় যা মাটির জন্য ক্ষতিকর।
৫। এসিড শরীরের জন্য ক্ষতিকর পেটের ভেতরে এসিড তৈরি হয় বেশি তৈরি হলে আলসার সৃষ্টি হতে পারে।
কার্বলিক এসিড সাপ তাড়াতে
কার্বলিক এসিড সাপ তাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমরা অনেকেই এ বিষয়টি সম্পর্কে জানি না। গ্রাম অঞ্চলের দিকে বাসা বাড়িতে সাপের উপদ্রব্য বেশি থাকে। জেনে রাখুন কার্বলিক এসিড সাপ তাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। কার্বলিক এসিড সাপ তাড়াতে কিভাবে ব্যবহার করবেন তা জেনে নিন।
১। প্রথমে কার্বলিক এসিড কে একটি কাঁচের পাত্রে ভরে নিতে হবে। আপনি যদি এই এসিড কে প্লাস্টিকের পাথরে রাখেন তাহলে এটি গলে যেতে পারে তাই কোন কাচের পত্রে রাখায় সর্বোত্তম হবে।
২। এরপরে এসিড যে পদে রেখেছেন তার মুখের মধ্যে একটি ছোট ফুটো করে দিন।
৩। এরপরে বাড়ির আশেপাশে এই বোতলটিকে রেখে দেন অথবা বাড়ির আশেপাশে হালকাভাবে করে এসিড গুলো ঢেলে দিতে পারেন। দেখবেন অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সাপের উপদ্রব আপনার বাড়ি থেকে কমে গিয়েছে।
কার্বলিক এসিড ব্যবহারের নিয়ম
কার্বলিক এসিড ব্যবহারের নিয়ম জেনে এটি ব্যবহার করতে হবে। কারণ অনেক সময় আমাদের অসাবধানতার কারণে অথবা কার্বলিক এসিড ব্যবহারের নিয়ম না জানার কারণে আমাদের শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। আমরা সাধারণত বাড়ি থেকে সাপের উপদ্রব কমানোর জন্য কার্বলিক এসিড ব্যবহার করে থাকি।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে বাড়িতে বসে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন
কার্বলিক এসিড ব্যবহারের জন্য প্রথমে এটিকে একটি গাছের পাতের ঢেলে নিতে হবে। অথবা এসিড যে সকল পাত্রে অবস্থান করে সেগুলোতে ঢেলে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে এসিডের কারণে পাত্র যেন গোলে না যায়।
- কার্বলিক এসিড ঢেলে নেওয়ার পরে ঢাকনা দিয়ে ভালোভাবে পাত্রটির মুখ ঢেকে দিতে হবে। যেন কোনভাবেই পাত্রের মুখ খুলতে না পারা যায়। এরপরে সে মুখের উপরে একটা ছিদ্র করতে হবে এবং বাড়ির আশেপাশে রেখে দিতে হবে।
কার্বলিক এসিড যুক্ত সাবান
আমরা আগেই জেনেছি যে কার্বলিক এসিড আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর। কার্বলিক এসিড যুক্ত সাবান যদি মানুষ ব্যবহার করে তাহলে সেটি মানুষের দেহে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে অথবা মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সাধারণত তাই কার্বলিক এসিড যুক্ত সাবান কেউ কিনে না। সাবানের সাথে কোন রকমের কার্বলিক এসিড যুক্ত করা হয় না।
তবে বিভিন্ন ধরনের জীবাণুনাশক পাউডার রয়েছে সেগুলোতে এসিড যুক্ত করা থাকে। এই এসিডের কারণে এবং গন্ধতে বিভিন্ন ক্ষতিকারক পোকামাকড় জীবাণু এবং সাপ আমাদের কাছে প্রবেশ করতে পারে না। বিভিন্ন পাউডার অথবা তরল পদার্থের কারাবলিক এসিড যুক্ত করা হয় কিন্তু কার্বলিক এসিড যুক্ত সাবান তৈরি করা হয় না।
কার্বলিক এসিড কোথায় পাওয়া যাবে
সাধারণত আমাদের দৈনন্দিন কিছু কাজের জন্য কার্বলিক এসিড ব্যবহার করা হয়। যার জন্য কার্বলিক এসিড কোথায় পাওয়া যাবে? এ ধরনের প্রশ্ন শোনা যায়। কার্বলিক এসিড কোথায় পাওয়া যাবে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। যে কোন এসিডের দোকানে কার্বলিক এসিড পাওয়া যাবে। এর জন্য আপনি আপনার নিকটস্থ যেকোনো এসিডের দোকানে যান।
কার্বলিক এসিড সংকেত
ফেনল কে কার্বলিক এসিড বলা হয়। কার্বলিক এসিড মানে কার্বোলিয়াম থেকে প্রাপ্ত এসিড। যেহেতু কার্বলিক এসিড খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই কার্বলিক এসিড সংকেত জেনে রাখা উচিত। বিভিন্ন রকমের পরীক্ষায় অথবা ভাইভা পরীক্ষায় কার্বলিক এসিড সংকেত জানতে চাওয়া হয়ে থাকে।
কার্বলিক এসিড সংকেত হলোঃ C6H5OH
কার্বলিক এসিড হাতে পড়লে করণীয়ঃ উপসংহার
কার্বলিক এসিড হাতের পড়লে করণীয়, কার্বলিক এসিড সংকেত, কার্বলিক এসিড কোথায় পাওয়া যাবে? কার্বলিক এসিড যুক্ত সাবান, কার্বলিক এসিড ব্যবহারের নিয়ম, কার্বলিক এসিড সাপ তাড়াতে, কার্বলিক এসিডের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে একটিচাকরির প্রচারের জন্য-সফলভাবে ইন্টারভিউ দিতে হয়
আপনাদের বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। এখন আপনি উক্ত বিষয়গুলো জেনে কার্বলিক এসিড ব্যবহার করতে পারেন সাবধানতার সাথে। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ। ২০৮৭৬
বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url