জামদানি শাড়ি চেনার উপায় - জামদানি শাড়ি প্রাইস
জামদানি শাড়ি চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? আজকের এই আর্টিকেল থেকে জামদানি শাড়ি চেনার উপায় সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জামদানি শাড়ি চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে জামদানি শাড়ি চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জামদানি শাড়ি চেনার উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কনটেন্ট সূচিপত্রঃ জামদানি শাড়ি চেনার উপায় - জামদানি শাড়ি প্রাইস
- ভূমিকা
- জামদানি শাড়ি চেনার উপায়
- ঢাকাইয়া জামদানি শাড়ি
- জামদানি কাতান শাড়ি - নীল জামদানি শাড়ি
- জামদানি শাড়ি প্রাইস - দামি জামদানি শাড়ি
- উপসংহার
জামদানি শাড়ি চেনার উপায় - জামদানি শাড়ি প্রাইসঃ ভূমিকা
বাংলাদেশের অনেক জনপ্রিয় একটি শাড়ি হল জামদানি শাড়ি। যা শুধু বাংলাদেশে নয় বাংলাদেশের বাইরে অনেক বিখ্যাত। আমরা অনেকেই জামদানি শাড়ি চেনার উপায় সম্পর্কে জানি না। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে জামদানি শাড়ি প্রাইস, ঢাকাইয়া জামদানি শাড়ি, জামদানি কাতান শাড়ি, নীল জামদানি শাড়ি, দামি জামদানি শাড়ি, জামদানি শাড়ির ছবি ও দাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
জামদানি শাড়ি চেনার উপায়
বাঙালি হয়ে জামদানি শাড়ি পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। কথায় আছে শাড়িতে নারী! বাঙালি নারীর সৌন্দর্য অন্যতম প্রতীক হলো শাড়ি। যেসব নারী শাড়ি পড়তে ভালোবাসে তাদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষের দিকে থাকে জামদানি শাড়ি। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জামদানি শাড়ি চেনার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে জেনে নিন আসল জামদানি শাড়ি চেনার উপায়।
আরো পড়ুনঃ মাসে ২০-৫০হাজার টাকা আয় করার সেরা ১০ টি উপায়
১। জামদানি শাড়ি কেনার আগে তিনটি বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে সেগুলো হল শাড়ির দাম, সুতার মান এবং কাজের সূক্ষ্মতা। জামদানি শাড়ি তাতিরা হাতে বুনন করে থাকে। সাধারণত তাই জামদানি শাড়ি অনেক কষ্টসাধ্য এবং সময় সাপেক্ষ। জামদানি শাড়ির দাম অন্যান্য শাড়ির তুলনায় অনেক বেশি।
২। জামদানি শাড়ি হাতে বোনাড় কারণে শাড়ির ডিজাইন হয় খুবই সূক্ষ্ম ও নিখুঁত। শাড়ির ডিজাইন হয় খুবই মসৃণ। কারিগর প্রতিটি সুতা হাত দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বন্টন করে থাকে। জামদানি শাড়ির কোনটা সামনের অংশ আর কোনটা ভেতরের অংশ তা পার্থক্য করা খুবই কঠিন। মেশিনে বোনা শাড়িতে কেবল জামদানি অনুকরণে হুবহু নকশা সেটা দেওয়া হয়।
৩। জামদানি শাড়ি চেনার আরেকটি উপায় হল এর সুতা মসৃণতা যাচাই করা। জামদানি শাড়ি বুনতে শুতি ও সিল্ক সুতার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সুতার ব্যবহারের দিক থেকে জামদানি সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে। ফুল কটন জামদানি, হাফ সিল্ক জামদানি এবং ফুল সিল্ক জামদানি। আঁচলের শেষ প্রান্তে সুতোগুলো আঙ্গুল দিয়ে মোড়ানোর পর যদি সুতোগুলো জড়িয়ে যায় তবে এটা সিল্ক সুতার তৈরি আর যদি সুতোগুলো যে কোন অবস্থায় সমান থাকে তবে তা নাইলন।
৪। জামদানি শাড়িতে যে অংশটুকু কোমরে গুজে রাখা হয় এই অংশে কয়েক হাত পর্যন্ত কোন পার বোনা থাকে না। কিন্তু মেশিনে বোনা সারির পুরো অংশ জুড়েই পার থাকে।
৫। হাতে বোনা জামদানি ওজনের হালকা হয়ে থাকে এবং পড়তেও আরামদায়ক হয়। অন্যদিকে জামদানি শাড়ির নকল করে মেশিনে কৃত্রিম সুতাই তৈরি হয় বলে এই শাড়িগুলো হয় ভারীও খসখসে।
ঢাকাইয়া জামদানি শাড়ি
জামদানি শাড়ির মধ্যে ঢাকাইয়া জামদানি শাড়ি মেয়েরা বেশি পছন্দ করে থাকে। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা ঢাকাইয়া জামদানি শাড়ি পড়তে পছন্দ করে। তাদের জন্য ঢাকাইয়া জামদানি শাড়ি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
জামদানি শাড়ি আমাদের ঐতিহ্য। বাংলাদেশের বিখ্যাত কয়েকটি বিষয়ের মধ্যে জামদানি শাড়ি অন্যতম যা বাংলাদেশের বাইরে ও অনেক বিখ্যাত।কার্পাস তুলোয় ভুনা শুকনো মিহি কাপড়ে জামদানি বুনন কারিগরদের নিপন হাতের ছোঁয়ায় পরম মমতায় তৈরি করা হয় জামদানি শাড়ি। ঐতিহ্যবাহী ছিল যে মুঘল রাজা বাদশা থেকে শুরু করে ইংরেজি রানী এতে মুগ্ধ হয়েছিলেন।
বিশ্বব্যাপী এই শাড়ির কদর থাকলেও এই শাড়ি তৈরি হতো শুধু বাংলাদেশের বিশেষত্ব ঢাকার কয়েকটি উপজেলায়। ইংরেজি শাসনামলে জামদানি বুনন প্রায় বন্ধ হয়ে যায় এবং বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়ার পর আবার এটা কাজ শুরু হয়। আর আদি জামদানি শাড়ি গুলো এখনো ঢাকা নারায়ণগঞ্জে কিছু জায়গায় হয় তাই ঢাকাইয়া জামদানি এত বিখ্যাত।
জামদানি কাতান শাড়ি - নীল জামদানি শাড়ি
জামদানি কাতান শাড়ি এবং নীল জামদানি শাড়ি অনেক নারীরা পছন্দ করে। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটি বিষয় হলো জামদানি শাড়ি। তাহলে চলুন জামদানি কাতান শাড়ি ও নীল জামদানি শাড়ি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে বাড়িতেবসে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন
জামদানি শাড়ি প্রাইস - দামি জামদানি শাড়ি - জামদানি শাড়ির ছবি ও দাম
জামদানি শাড়ি প্রাইস সম্পর্কে জানা থাকলে খুব সহজে আমরা দামি জামদানি শাড়ি এবং কমদামী জামদানি শাড়ি চিনতে পারব। তাই আপনাদের সুবিধার্থে নিচে জামদানি শাড়ির ছবি ও দাম উল্লেখ করা হলো
আরো পড়ুনঃ কিভাবে মোবাইল ফোন থেকে টাকা আয় করবেন
আসল জামদানি শাড়ি তৈরির সময়, সুতার মান ও কাজের ধরন অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বা তার বেশি একটি জামদানি শাড়ির দাম হতে পারে। সেটা আপনি বিভিন্ন দোকান থেকে জামদানি শাড়ি কেনার সময় দেখে নিতে পারেন।
জামদানি শাড়ি চেনার উপায় - জামদানি শাড়ি প্রাইসঃ উপসংহার
জামদানি শাড়ি প্রাইস, ঢাকাইয়া জামদানি শাড়ি, জামদানি কাতান শাড়ি, নীল জামদানি শাড়ি, দামি জামদানি শাড়ি, জামদানি শাড়ির ছবি ও দাম, জামদানি শাড়ি চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন। আপনাকে বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ। ২০৮৭৬
বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url