ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা কেমন আছেন, আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজ আমরা জানবো, একজন ব্যাক্তীর ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে।
আমরা অনেকেই জানি না যে, মানুষের ক্যান্সার কেনো হয় এবং ক্যান্সার মূলত কি এবং ক্যান্সার হলে সাধারণত কত দিন বাঁচতে পারে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে বিস্তারিত জেনে নিই।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে
আপনি যদি বুঝতে পারেন যে আপনার ক্যান্সার হয়েছে তাহলে খুবই দ্রূত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন কেননা ক্যান্সার হলে মানুষ সঠিক চিকিৎসকের মাধ্যমে ৬৭% বাঁচার আশঙ্কা থাকে। ক্যান্সারের থেকে বেঁচে যাওয়া প্রায় ১৮% রোগ নির্ণয়ের পর ২০ বা তার বেশি বছর বেঁচে আছে। এবং ৬৪% বেঁচে থাকারে ৬৫ বা তার ও বেশি।
আরো পড়ুনঃ গলায় গ্যাসের সমস্যা - ঢোক গিলতে সমস্যা হয় কেন
বর্তমান সময় এখন আর আগের মতো নেই এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আগেকার সময়ে ক্যন্সার হলে বাঁচার সম্ভবনা একদমই কম ছিল না বল্লেই চলে। কিন্ত এখন সময়ের পরিবর্তনের কারণে অনেক বিঙ্গানিক ও চিকিৎসক হয়েছে। এই হিসাবে ক্যান্সার হলে প্রায় ৪০%-৭৫% লোকই সঠিক চিকিৎসা মাধ্যমে বাঁচতে পারে।
ক্যান্সার হলে কতদিন সুস্থ থাকে
ক্যান্সার এমন একটি রোগ যেটি সাবই শুনলে আতঙ্ক হয়ে পরে। কিন্তু ক্যান্সারের রোগের কথা শুনলে আতঙ্ক হবারই কথা কিন্ত সব ক্যান্সারই এক জিনিস নয়। কিছু কিছু ক্যান্সার আছে তেমন একটা মারাত্বক না তবে এমন ও ক্যান্সার আছে খুবই জটিল।
সাধারণত কোনো ব্যক্তির ক্যান্সার হলে কিছুদিন সুস্থ থাকে। তবে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা যদি থাকে সঠিক চিকিৎসক দ্বারা সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ থাকা যায়।
ক্যান্সার রোগীর লক্ষণ
ক্যান্সার রোগীর বিভিন্ন লক্ষণ থাকে। ক্যান্সার মূলত বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, যেমন; ব্লাড ক্যান্সার, ব্রেইন্ড ক্যান্সার, ইত্যাদি। ক্যান্সার রোগীর লক্ষণ
যেমন;
গালে ঘাঁ
মুখে দুরগন্ধ
শরীর পঁচে যাওয়া
নাকে ভিতরে ঘাঁ
মস্তিষ্কে ঘা
চোঁখের লেস্ন প্রচন্ড ঘাঁ
ইত্যাদি
কি কারণে ক্যান্সার হতে পারে
ক্যান্সার হতে পারে তার মধ্যে অন্যতম বিষয় হলো যেমন; অতিরিক্ত মাত্রায় ধূমপান বেশি করলে, অতিরিক্ত পান সুপরি, জর্দা, মদ, হিরোহিন, গাজা, ইয়াবা, বিভিন্ন নেশা জাতিয় দ্রব্য পান করলে ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ হরমোনের সমস্যাবোঝার উপায়
ক্যান্সার হতে পারে তার মধ্যে অন্যতম হলো সাধারণত শারীরিক পরিশ্রম কম করে তাদের মধ্যেও ক্যান্সারের প্রবণতাটা বেশি হয়ে ওঠে।
ক্যান্সারt হলে রোগী কেনো মারা যায়?
ক্যান্সার শরীরের একটি পরগাছার মতো। শরীরের একটি সাভাবিক কোষ কোন কারনে কোনভাবে পরিবর্তন হয়ে ক্যান্সার কোষে রুপান্তর হয়। তারপর এগুলোর একটা থেকে দুইভাগ হয়ে দুইটা, চারটা, ষোলটা, এইভাবে অসংখ্য কোষ তৈরি হয়ে টিউমার আকার ধারন করে।
যে কারণে স্বাভাবিক কোষ ক্যান্সার কোষে রুপান্তর হয়, সেই কারনটি উঠিয়ে নিলেও ক্যান্সার কোষ তার নিজস্ব ক্ষমতা বলে বৃদ্ধি পেতে থাকে। ঔষধ প্রয়োগ করে ক্যান্সার সেল মেরে ফেলা যায়। সাথে স্বাভাবিক কোষেরও মৃত্যু হতে পারে। ক্যান্সার কোষ বিভিন্ন পথে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে বাসা বাঁধতে থাকে। শরীরের পুষ্টিতে ভাগ বসায়।
আরো পড়ুনঃ ঘাড়ের রগেটান লাগলে করণীয়
তাই, রোগী রুগ্ন হতে থাকে। ক্যান্সার স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হয়ে রোগী রক্ত শুন্য হয়ে পড়ে। ক্যান্সার কোষ থেকে সাইটোকাইন নিঃসৃত হয়ে রোগীর ক্ষুধামান্দ ও সাভাবিক কোষের ক্ষতি করতে থাকে। রোগী শুকিয়ে যায়। ক্যান্সার স্থানে ঘা হয়ে পঁচে দিয়ে দুর্ঘন্ধ ছড়ায়। মাছি বসে ডিম দিয়ে পোকা ফেলে। লাংস, লিভার ও ব্রেইনে ছড়িয়ে পড়ে মৃত্যু তরান্বিত করে।
মুখে ও খাদ্যনালীতে ক্যান্সার হলে খাদ্য গিলতে না পেরে অনাহারে রোগী মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। পায়ু পথে ক্যান্সার হলে পায়খানা বন্ধ হয়ে রোগী মারা যায়।
বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url