ভালো ছাত্র হওয়ার ১৮ টি নিয়ম
পোস্ট সূচীপত্রঃ
ভালো ছাত্র হওয়ার ১৮টি নিয়ম
- নিয়ম আনুযায়ী পাঁচ ওক্ত নামাজ পড়ুন
- সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকুন
- মোবাইলের আশক্ত থেকে বিরত থাকুন
- পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়ম করে লেখালেখি করুন
- পড়ার সময় লিখে লিখে পড়ুন
- রুটিন মাফিক চলুন
- নিজের মধ্যে জানার আগ্রহ বৃদ্ধি করতে হবে
- অনলাইনে নিয়ম করে আসুন
- অনলাইনে করোর সথে ঝগড়া বিবাদে জরাবেন না, এতে মনে অশান্তি এবং পড়াশোনায় মনোযোগি নষ্ট হতে পারে
- বন্ধুর সংখ্যা সিমীত করুন
- মিথ্যাবাদী লোকেদের থেকে দূরে থাকুন
- প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে ঘোরাঘুরি করা যাবে না
- খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে, যেমন- বিড়ি, সিগারেট, মাদক দ্রব্য। কারণ নিকটিনের জন্য বাড়ি থেকে বেশি বেশি বের হতে হয়
- রিডিং রুম পরিষ্কার ও পরিছন্নতা চাই
- পড়ার রুমে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করুন
- পড়ার টেবিলে বেশি বই রাখার প্রয়োজন নেই, প্রয়োজনী বই গুলো শুধু সামনে রাখুন
- মাঝে মাঝে ঘুরতে যান, এবং কোরআন তেলওয়াত শুনুন
- মাঝে মাঝে মুভি দেখুন এতে আপনার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ জাগবে
একজন ভালো ছাত্রের বৈশিষ্ট্য
ভাল ছাত্র হওয়ার কৌশল। ভাল ছাত্র হবার সুবিধা অনেক। সেই সব সুবিধের কথা জানেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম। তাই কথা না বাড়িয়ে চলে যাই কিভাবে ভাল ছাত্র যায় সে বিষয়েঃ
ডেইলি রুটিন
সময়ের সাথে সবচাইতে বেশি সঙ্গতিপুর্ন হল প্রতিদিনের রুটিন। এই রুটিনের মধ্যে খেয়াল রাখতে হবে সপ্তাহের সব দিনে টোটাল বিষয় সমুহ এসেছে কি না। যদি না আসে তবে সে অনুযায়ী সাজাতে হবে। প্রত্যেক সপ্তাহের কাজ সপ্তাহেই শেষ করতে হবে। পাঠ্যসুচীতে যা কিছু আছে তার সবটাই ঢেলে সাজানো হচ্ছে প্রথম কাজ।
যে ছাত্র একটি সুন্দর রুটিন মেনে চলে সে ভাল না হয়ে পারেনা। দিনের প্রত্যেক ক্ষুদ্রাংশকেও ভেঙ্গে সাজাতে হয়। প্রতি দশ মিনিটের জন্য একটি কাজ করা যেতে পারে আর তার রেজাল্ট মাসের শেষে মিলিয়ে দেখলে এমনিতেই ডেইলি রুটিনের গুরুত্ব বুঝা যাবে।
সময় পরিকল্পনা
একটি দৈনিক রুটিনের মাঝে এমন ভাবে সময় প্ল্যান করতে হবে যেন বোরিং না আসে। পড়ার সময় খুব বেশি যেন না হয়। দিনে ৬ ঘন্টার বেশি পড়া উচিত না। বেশি পড়লেই ভাল হয় না। ভাল করে পড়লে কম পড়াই যথেষ্ট। তবে মেধানুসারে ৬ঘন্টা থেকে আরো বাড়ানো যেতে পারে। কিন্তু মনে রাখা উচিত সেই বাড়তি সময় যেন মনের উপর প্রভাব না ফেলে।
ডেইলি নোট
যদি নোট করার অভ্যেস না থাকে তবে আজি তা আয়ত্ব করুন। নোট এমন একটি ব্যাপার যা না করলে কখনোই তেমন কিছু মনে রাখা সম্ভব নয়। যে কোন কঠিন বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করলেও একটি নোটের মাধ্যমে তা সহজ করে ফেলা যায়। জটিল বিষয়ের জটিল পয়েন্টসগুলো লিখে রাখাই উত্তম।
নিয়মিত ক্লাস
ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিত থাকাটা আবশ্যক। প্রতিদিনের মত যদি ক্লাসে উপস্থিত না থাকা যায় তবে সেই অনুপস্থিত ক্লাসের পড়াটাও সংগ্রহ করা উচিত। শিক্ষকের সাথে একই সময়ে যে পাঠ চর্চা করা হয় তা সাথে সাথেই বোধগম্য হয়ে যায়। নিয়মিত ক্লাস করার সুবিধা অনেক।
পড়া পড়া এবং লেখা
পড়ার কোন বিলল্প নেই। তবে তা কেবল না বুঝে পড়াই নয়, বুঝে শুনে পড়া। কোন কিছু মগজে না ঢুকতে চাইলে তা লিখে ফেলা উচিত। লিখতে গেলে বিষয়টা খুব ভাল ভাবে মনে থাকে। তাই প্রথম চেষ্টা হচ্ছে পড়া, তার পরের চেষ্টাও পড়া এবং সবশেষে লিখে চেষ্টা করা। এছাড়াও যদি বিষয়টি পড়া শেষ হয়ে যায় তারপর আবার নতুন কতে লিখে দেখা যেতে পারে যে অই বিষয়টি আসলেই আয়ত্ব হয়েছে কি না।
সহায়ক গ্রন্থের পাঠ বাড়ানো
যে কোন পাঠের বিস্তারিত পাঠ্যবইয়ে না থাকাটা স্বাভাবিক। এর বিস্তারিত জানার জন্যে সহায়ক বইয়ের সাহায্য নেয়া উচিত। যেমন বিজ্ঞান বিষয়ে অন্য অনেক সহায়ক গ্রন্থ আছে যা থেকে সেই বিষয়ে আরো অনেক জ্ঞান অর্জন করা।
আরো পড়ুনঃ মা-বাবার সাথে কেমন আচরণ করা উচিৎ
লক্ষ্য ঠিক করা
ভালো স্টুডেন্টদের মূল্যায়ন সব জায়গাতেই হয় এবং এরা অনেক সুযোগ পেয়ে থাকেন জীবনের সফলতা অর্জনে। আপনি যদি একজর ভালো স্টুডেন্ট হতে চান তাহলে আবশ্যই আপনার জীবনের একটি লক্ষ্য তৈরি করুন। কোন পথে ঠিক কিভাবে এগোবেন সেই বিষয়ে ভাবুন। একটা গতিপথ তৈরি করুন।
অধ্যবসায় করা
ভালো স্টুডেন্ট হতে হলে আপনাকে অধ্যবসায় করতে হবে। জীবনের লক্ষ্য অনুযায়ী এগুতে গিয়ে অধ্যবসায়ের প্রয়োজন রয়েছে। ছাত্রজীবনের অধ্যবসায় আপনাকে জীবনে সফলতা এনে দেবে। কঠিন অধ্যবসায়ই আপনাকে একজন ভালো স্টুডেন্ট তৈরি হতে সহায়তা করবে।
রুটিন করুন
আপনি ছাত্রজীবনে যে ধরনের কাজ করছেন তার একটি সুনির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন। রুটিনে পড়াশুনা এবং অন্যান্য কাজের সময়গুলো হিসেব করে ভাগ করে নিন। রুটিনটিতে পড়ার সময়টুকু অবশ্যই বেশি রাখবেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে যান। এতে করে দেখবেন ফলাফল ইতিবাচক আসবেই, ইনশাআল্লাহ।
লাইব্রেরী ওয়ার্ক করুন
ভালো স্টুডেন্টরা লাইব্রেরী ওয়ার্ক করতে পছন্দ করেন বেশি। লাইব্রেরী ওয়ার্ক করলে খুব সহজেই কঠিন বস্তুকে আয়ত্ব করা যায়। এ কারণে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় বাছাই করে আপনি ঐ সময়টাতে লাইব্রেরী ওয়ার্ক করুন। দেখবেন ভালো স্টুডেন্ট হয়ে ওঠা খুবই সহজ হয়ে যাবে।
খারাপ বন্ধু ত্যাগকরুন
ভালো স্টুডেন্ট হতে গেলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সেটি হল খারাপ বন্ধুগুলোকে ত্যাগ করতে হবে। খারাপ বন্ধু থাকলে আপনার সময়গুলো খুবই বাজেভাবে নষ্ট হয়ে যাবে। পড়াশুনা করতে পারবেন না,এমনকি মাদকাসক্ত হয়ে পড়তে পারেন। এ কারণে ভালোভাবে পড়াশুনায় মনোযোগ আনতে আপনি আপনার বন্ধুচক্র থেকে খারাপ বন্ধুদের বাদ দিয়ে দিন প্রয়োজনে কিছু ভালো বন্ধু যোগ করুন। এছাড়াও আরো অনেক বিষয় আছে যেগুলো মেনে
ভালো ছাত্রদের কেমন চলা উচিৎ
ভালো ছাত্র/ছাত্রীদের চলাফেরা কেমন করা উচিৎ যেমনঃ
1. ” জীবনে ভাল কিছু করবো ” এ ধারনা মনে লালন করতে হবে এবং বছরের প্রথম হতেই মনোযোগ সহকারে পড়া-লিখা করতে হবে ।
2. ভাল রেজাল্ট করার জন্য কতটুকো জানার প্রয়োজন তা আপনার নিকট স্পষ্ট হতে হবে ।
3. যতটুকো জানলে ভাল ফলা-ফল অর্জন করা সমভব তার কতটুকো আপনার জানা আছে তা আপনার নিকট স্পষ্ট হতে হবে ।
4. অজানা বিষয়গুলি কতদিনে আয়ত্বে আনা সমভব তা আপনার নিকট পরিস্কার হতে হবে ।
5. হাতের লিখা পরিস্কার এবং স্পষ্ট হতে হবে । এর জন্য নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে ।
6. প্রতি দিনের পড়া প্রতি দিন সস্পন্ন করতে হবে । কোন ক্রমেই আজকের পড়া আগামী দিনের জন্য রেখে দেওয়া যাবে না ।
7. সকল বিষয়ের প্রতি সমান গুরুত্ব দিতে হবে ।
8. শ্রেণিতে মনোযোগী হতে হবে ।“বাসায় গিয়ে ভাল করে বুঝবো ” এ মানসিকতা পরিহার করতে হবে । যা বোঝার তা তখনই বুঝতে হবে ।
9. কোন বিষয় না বুঝে শ্রেণিকক্ষ ত্যাগ করা যাবেনা ।
10. শ্রেণি কক্ষে শিক্ষক/শিক্ষিকাকে প্রশ্ন করার সময় বন্ধুরা কে কি ভাবলো তার তোয়াক্কা না করা । ”আমি আমার পড়া স্যারের কাছে বুঝে নেব” এটাই হবে তোমার পরিকল্পনা ।
11. শিক্ষার্থী সুলভ বিনয়ী ও নম্র আচরণ থাকতে হবে । মনে রাখতে হবে আপনি শিখতে এসেছেন। ভাল আচরণ সবাইকে মুগ্ধ করে।
12. আত্ম মর্যাদা থাকতে হবে । (পড়া না পাড়লে লজ্জা পাওয়া)
13. সবসময় স্মার্টনেস বজায় রাখতে হবে এবং পড়ার প্রতি সজাগ থাকতে ।
14. সর্ব অবস্থায় শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে এবং তার পরামর্শ নিতে হবে ।
15. মনে রাখতে হবে আপনার জীবন আপনারই , আপনার জীবনের ক্ষতি হলে আপনার চাইতে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ কেউই হবেনা । আবার সফলতা আসলে আপনার চাইতে বেশী লাভবানও কেউ হবেনা ।
16. কাউকে ঠকানোর চেষ্টা করবেন না । তাতে আপনিই বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। কারন সৃষ্টিকর্তা ঠকবাজকে পছন্দ করেন না এবং তার উন্নতির জন্যও তিনি সহায়তা করেন না।
17. পাঠ্য বইয়ের বাইরে অন্যন্য বইও পড়তে হবে , যা আপনার সৃজনী শক্তি বৃদ্ধি করবে ।
18. শুধু পড়া-লিখা নিয়ে ব্যস্থ থাকলে চলবেনা , খেলা ধুলাও করতে হবে । তাতে শরীর ও মন ভাল থাকবে যা পড়া লিখায় সহায়ক ।
আরো পড়ুনঃ ভদ্র মেয়ে চেনার উপায়
19. শিক্ষক/শিক্ষিকা এবং বাবা –মার চাইতে বেশী বুঝবেনা । আপনার যদি মনে হয় আপনার বাবা-মা এবং আপনার শিক্ষক আপনার চাইতে কম বোঝেন, তা হলে আপনার জীবনের পতন কেউই ঠেকাতে পারবেনা ।
20. আপনার মনে রাখতে হবে , আপনার বাবা-মা আপনাকে অনেক ভাল বাসেন । তাই তাদের জন্য হলেও আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে ।
বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url