আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠকগন কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আল্ কুরআনের সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত সস্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। এবং সূরা হাশরের বাংলা উচ্চারণসহ জানবো এই আর্টিকেল থেকে।
তার জন্য প্রিয় পাঠকগন এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পযন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, সূরা হাশরের তিন আয়াত সম্পর্কে বিস্তারিত।
সুরা হাশর পবিত্র কোরআনের ৫৯তম সুরা। এটি মদিনায় অবতীর্ণ। এর ৩ রুকু, ২৪ আয়াত। এই সুরায় ইহুদিদের নির্বাসনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
মদিনা থেকে দুই মাইল দূরে বনু নাজিরের বসবাস। তারা নবী করিম (সা.)-এর সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে আবদ্ধ ছিল। এ অবস্থায় নবী করিম (সা.) তাদের মহল্লায় গেলে তারা তাঁকে একটি ছাদের নিচে বসতে দেয়। পরে ছাদ থেকে পাথর গড়িয়ে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। আল্লাহ তাআলা ওহির মাধ্যমে তাঁকে এ বিষয়ে জানানো হলে তিনি জায়গাটি থেকে সরে যান। তাদের জানিয়ে দেন, ‘তোমরা চুক্তি ভঙ্গ করেছ। তোমাদের যেখানে ইচ্ছা চলে যাওয়ার জন্য ১০ দিন সময় দেওয়া হলো। এরপর তোমাদের কাউকে পাওয়া গেলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।
অর্থ: অর্থ : তিনি আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। তিনি পরম করুণাময়, পরম দয়াময়। তিনিই আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনিই মালিক, তিনিই পবিত্র, তিনিই শান্তি, নিরাপত্তাবিধায়ক, তিনিই রক্ষক, তিনিই পরাক্রমশালী, তিনিই প্রবল, তিনিই অহংকারের অধিকারী। ওরা যাকে শরিক করে আল্লাহ্ তার থেকে পবিত্র, মহান। তিনিই আল্লাহ্, সৃজনকর্তা, উদ্ভাবনকর্তা, রূপদাতা, সব সুন্দর নাম তাঁরই । আকাশ ও পৃথিবীতে যা-কিছু আছে সমস্তই তাঁর পবিত্র মহিমা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রমশালী, তত্ত্বজ্ঞানী। (সুরা হাশর, আয়াত: ২২থেকে ২৪)
সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত ফজিলত
গুনাহ মাফঃ নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি সূরা হাশরের শেষ ৩টি আয়াত পাঠ করবে তার অতীত ও ভবিষ্যতের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
ক্ষতি থেকে সুরক্ষা: সূরা হাশরের শেষ ৩টি আয়াত তেলাওয়াতকারীকে শারীরিক ও আধ্যাত্মিক উভয় প্রকার ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
সরল পথে হেদায়েত: সূরা হাশরের শেষ ৩টি আয়াত তেলাওয়াতকারীকে সরল পথে পরিচালিত করতে এবং সৎ পথে চলতে সাহায্য করার জন্য বলা হয়েছে।
আল্লাহর জ্ঞান বৃদ্ধি: সূরা হাশরের শেষ ৩টি আয়াত আল্লাহর মহিমা ও ক্ষমতার স্মারক। এই আয়াতগুলি তেলাওয়াত করা আল্লাহর সম্পর্কে পাঠকারীর জ্ঞান বৃদ্ধি করতে এবং তাদের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করতে পারে।
আপনি যদি আপনার আধ্যাত্মিক জীবনকে উন্নত করার উপায় খুঁজছেন, তবে আমি আপনাকে নিয়মিত সূরা হাশরের শেষ 3টি আয়াত পাঠ করার জন্য উত্সাহিত করছি। তুমি আনন্দিত হবে যে, তুমি পেরেছ।
উপরে উল্লিখিত উপকারিতার পাশাপাশি কিছু শারীরিক উপকারিতাও রয়েছে যা সূরা হাশরের শেষ তিনটি আয়াত তেলাওয়াতের সাথে জড়িত বলে বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ, বলা হয় যে এই আয়াতগুলি পাঠ করলে মাথাব্যথা এবং অন্যান্য অসুস্থতা নিরাময় হতে পারে।
অবশ্যই, সূরা হাশরের শেষ 3টি আয়াত পাঠ করলে আপনার উপকার হবে কিনা তা নিশ্চিতভাবে জানার সর্বোত্তম উপায় হল নিজের জন্য চেষ্টা করা। আমি আপনাকে এই আয়াতগুলি নিয়মিত আবৃত্তি করতে এবং আপনার জীবনে যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে তা নিজের জন্য দেখতে উত্সাহিত করি।
মাকিল ইবনে ইয়াসার (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: “যে ব্যক্তি তিনবার করে সকাল, 'আউতু বিল্লাহ ইল-সামি' ইল-'আলিম মিন আল-শয়তান ইল-রাজিম (আমি অভিশপ্ত শয়তান থেকে সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি) এবং শেষ তিনটি আয়াত পাঠ করি। সূরা হাশরের আয়াতে বলা হয়েছে, সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তার প্রতি রহমতের জন্য সত্তর হাজার ফেরেশতা পাঠাবেন এবং যদি সে সেদিন মারা যায় তাহলে সে শহীদ হয়ে মারা যাবে। আর যে কেউ সন্ধ্যায় একথা বলবে, তাকেও একই মর্যাদা দেওয়া হবে।”
আমি এই নিবন্ধটি তথ্যপূর্ণ এবং সহায়ক হয়েছে আশা করি, যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে, অনুগ্রহ করে নির্দ্বিধায় জিজ্ঞাসা করুন। আমারা এই আর্টিকেল থেকে সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি। এছাড়া্ও সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত সম্পর্কে আপনার যদি কোনো ধরনের মন্তব্য থাকে তাহলে অশ্ব্যই জানাবেন।
বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url