ডিমের ব্যবসার আইডিয়া - ডিমের পাইকারি বাজার কোথায়
বর্তমান সময়ে অনেক ব্যবসায়ী ডিমের ব্যবসা করছে। ডিমের ব্যবসা করার মাধ্যমে অনেক ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা এখন নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে পেরেছে। সাধারণত ডিমের ব্যবসা শুরু করার জন্য কোন প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হয় না। এবং এই ব্যবসার মাধ্যমে ভাল অর্থ আয় করা সম্ভব।
ডিম |
যত সময় যাচ্ছে এই ডিমের ব্যবসায় তত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তরুণ উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে সকলেই এখন ডিমের ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে। আজকের আর্টিকেলে কিভাবে ডিমের ব্যবসা শুরু করবেন এবং ডিমের ব্যবসায় লাভ কেমন হতে পারে এই সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ডিমের ব্যবসা শুরু করার আইডিয়া?
যারা ডিমের ব্যবসায় শুরু করতে চান তারা চাইলে এই ব্যবসাটিকে ২ ভাবে করতে পারেন। যেমনঃ ডিমের পাইকারি ব্যবসায় এবং ডিমের দোকান দিয়ে ব্যবসায়। এই দুই পদ্ধতিতে ব্যবসায় করা অনেক সহজ এবং খুব কম সময়ের মধ্যে লাভবান হওয়া সম্ভব।
ডিমের পাইকারি ব্যবসা?
যারা ডিমের পাইকারি ব্যবসায় শুরু করতে চান তারা চাইলে ডিমের পাইকারি বাজারগুলো থেকে কম দামে ডিম কিনে নিয়ে এসে সেগুলো গ্রামের ছোট ছোট দোকানগুলোতে বিক্রি করতে পারেন। আপনি চাইলে একটি ভ্যান সংগ্রহ করে, সেই ভ্যানে করে এই সকল ডিমগুলো পাইকারি দামে বিক্রি করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে অনেক ডিম ব্যবসায়ী এই পদ্ধতিতে ব্যবসা করছে এবং এখান থেকে দৈনিক ২ থেকে ৩ হাজার টাকা অনায়াসেই ইনকাম করছে। তাই আপনিও যদি ডিমের ব্যবসা করবেন বলে ভেবে থাকেন, তাহলে ডিমের পাইকারি ব্যবসায়টি শুরু করতে পারেন।
ডিমের দোকান দিয়ে ব্যবসা?
ডিমের দোকান দিয়ে ব্যবসা করাটাও বর্তমান সময়ে অনেক লাভজনক। এই ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনাকে একটি দোকান দিতে হবে যেখানে বিভিন্ন ধরনের ডিম থাকবে। যেমনঃ হাঁসের ডিম, মুরগির ডিম এবং কোয়েল পাখির ইত্যাদি। আপনার দোকানটি একবার পরিচিতি পেয়ে গেলে কাস্টমার ধীরে ধীরে আসতে থাকবে তখন তাদের কাছে আপনি এই সমস্ত ডিমগুলো খুচরা ভাবে বিক্রি করতে পারবেন।
কিছুদিনের মধ্যেই আপনার দোকানের কাস্টমার সংখ্যা অনেকাংশে বেড়ে যাবে এবং এর সঙ্গে আপনার লাভের পরিমাণও বেড়ে যাবে। তাই ভাল একটি স্থান দেখে ডিমের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করে ফেলুন আর এখান থেকে বেশি বেশি টাকা আয় করুন।
আজকের ডিমের পাইকারি বাজার / ডিমের পাইকারি বাজার কোথায়
আপনি যদি ডিমের ব্যবসা করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ডিমের পাইকারি বাজার সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। কেননা এই পাইকারি বাজার থেকে ডিম অল্প দামে কিনে। তবেই আপনি নিজের দোকানে, লাভ রেখে বিক্রি করতে পারবেন। তাই ডিমের পাইকারি দাম কত বা পাইকারি বাজার সম্পর্কে ধারণা রাখা অত্যান্ত জরুরী।
ডিমের পাইকারি বাজার ঢাকা?
রাজধানী ঢাকা শহরে তেজগাঁও ডিমের বাজার এক সময় ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণ করতো। বর্তমানে তেজগাঁও এর পাশাপাশি মিরপুর ও উত্তরায় ডিমের বাজার রয়েছে। বর্তমান সময়ে এই সকল বাজারগুলোতে ডিমের দাম মূলত একই হয়ে থাকে। আর তাই যারা পাইকারিভাবে ডিম কিনতে চান তারা চাইলে ঢাকা তেজগাঁও কিংবা ঢাকা মিরপুর থেকে ডিম কিনতে পারেন।
ডিমের বাজার চট্টগ্রাম?
চট্টগ্রামে বর্তমান ডিমের পাইকারি বাজার রয়েছে। আপনারা যারা ডিমের ব্যবসা করতে চান, তারা চট্টগ্রাম থেকে পাইকারিভাবে ডিম কিনে নিয়ে আসতে পারেন। চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজারে আপনারা কম দামে পাইকারি ভাবে ডিম কিনে তারপর নিজেদের দোকানে বিক্রি করতে পারবেন।
ডিমের ব্যবসায় লাভ কেমন?
ডিমের ব্যবসায় লাভ কেমন হবে সেটা শুধুমাত্র আপনার উপর নির্ভর করবে। অর্থাৎ আপনি এই ব্যবসায় কত টাকার মূলধন খাটাচ্ছেন এবং কিভাবে ব্যবসায় পরিচালন করছেন। আপনি যদি ভ্যানগাড়িতে করে ডিমের পাইকারি ব্যবসায় করেন তাহলে প্রতিদিন এখান থেকে ২ হাজার টাকার বেশি লাভ করা সম্ভব।
আর যদি আপনি ডিমের দোকান দিয়ে ব্যবসা করেন তাহলে অনায়াসেই এখান থেকে মাসে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। তাহলে আপনারা অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে ডিমের ব্যবসায় কি রকম লাভ করা সম্ভব।
ডিমের ব্যবসা করতে পুঁজি লাগে?
যারা ডিমের ব্যবসা শুরু করতে চান তারা চাইলে ৫০ হাজার টাকার পুজি নিয়ে খুব সহজেই ডিমের ব্যবসায়টি শুরু করতে পারেন। আর যারা দোকান দিয়ে ডিমের ব্যবসায় করতে চান তাদের জন্য কমপক্ষে এক লাখ টাকা প্রয়োজন হবে।
সতর্কতা
ডিম ব্যবসায় একটি বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে সেটা হচ্ছে পরিবহনের সময় যাতে কোন ডিম ভেঙে না যায়। সাধারণত অনেক সতর্কতা অবলম্বন করার পরেও প্রায় ২% ডিম ভেঙে যায়। এই ডিম ভেঙে যাওয়ার হার যত কম হবে, ততই ভাল।
শেষ কথা, ডিমের ব্যবসায় লাভ কেমন হয় এ নিয়ে আশা করি আপনার তেমন কোন ধরনের প্রশ্ন নেই। ডিমের ব্যবসায় নিয়ে আরও যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে, কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাতে পারেন।
বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url