লস ছাড়া ব্যবসার নাম - কম ঝুঁকির ব্যবসা
ব্যবসায়তে ঝুঁকি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এরপরেও জানার ইচ্ছা জাগে, লস ছাড়া ব্যবসায় আদৌ সম্ভব কি না?
কম ঝুঁকির ব্যবসা |
আসলে এমন কিছু ব্যবসায় আছে, যে সব ব্যবসায় লস খুব কম হয়। আবার কিছু কিছু ব্যবসায় আছে, যেগুলোতে লস নেই বললে চলে। যেমনঃ
ফাস্টফুড ব্যবসায়
বর্তমানে গ্রাম অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চল সব স্থানে ফাস্টফুড ও রেস্টুরেন্টের ব্যবসায় চলমান রয়েছে। যা অনেক লাভজনক ও ঝুঁকি ছাড়া ব্যবসায়। রেস্টুরেন্ট ও ফাস্টফুড ব্যবসায় বলতে গেলে প্রায় অর্ধেক বেশি পরিমাণ লাভ পাওয়া যায়। বর্তমান সময়ে এই ব্যবসায়টা একদমই ঝুঁকি ছাড়া ও অনেক লাভজনক।
ইলেক্ট্রনিক পণ্যের ব্যবসায়
আধুনিক এই পৃথিবীতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস হিসেবে ইলেকট্রনিক পণ্যের ভূমিকা অপরিসীম রাখছে। আমাদের দৈনন্দিন কাজে ইলেকট্রনিক পণ্যের ব্যবহার ব্যাপক। আমাদের প্রতিদিন ইলেকট্রনিক্স পণ্য দ্বারা দিন শুরু হয় ও সারাদিন ইলেকট্রনিক পণ্যের মাধ্যমে দিন শেষ হয়। সেক্ষেত্রে এ ব্যবসায়টা অনেক লাভজনক ও ঝুঁকি ছাড়া।
যেমনঃ প্রেসার কুকার, রাইস কুকার, ফ্যান, ইলেকট্রিক তার, মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ইলেকট্রনিক পণ্যের জুড়ি নেই। তাই আপনি চাইলে ইলেকট্রনিক পণ্যের মাধ্যমে লস ছাড়া ব্যবসায় করে লাভবান হতে পারেন।
ঠিকাদার ব্যবসায়
দেশের যেকোন জায়গায় কোন রাস্তা, ঘাট থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, ব্রিজ, কালভার্টের নির্মাণ কাজ, বিদ্যুৎ এর তার অথবা পিলার এর কাজ ঠিকাদার ব্যবসায়ীগণ করে থাকে। এই কাজ গুলো সাধারণত সরকারি কোষাগার থেকে করা হয়।
যেখানে যত টাকা প্রয়োজন হয়, সেখানে সব সরকারি প্রজেক্টের মাধ্যমে করে দেওয়া হয়। আপনি শুধু কাজের লোক দিয়ে কাজ করিয়ে তাদের কাছে কাজ বুজিয়ে দিলেই আপনার লাভের অংশ পেয়ে যাবেন। আর তাই ঠিকাদার ব্যবসায় অনেকাংশে লাভজনক ব্যবসায়।
মেস ব্যবসায়
প্রত্যেকটা জেলায় অথবা বিভাগীয় শহরে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছাত্রীদের থাকার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকে না। তাদের এই সমস্যার কথা চিন্তা করে আপনি মেস ব্যবসায় চালু করতে পারেন। যা অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসায়। যার মধ্যে কোন ধরনের লস নেই। ছাত্র ছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করে দিলে প্রতি বছর ছাত্রছাত্রী পরিবর্তন হলেও কোন দিন এই ব্যবসায় বন্ধ হবে না।
হোটেল ব্যবসায়
শহরাঞ্চলে প্রতিটি রাস্তার দ্বারে দ্বারে বিভিন্ন অলি গলিতে আমরা আবাসিক হোটেলের সাইন বোর্ড দেখতে পাই। আর এই ব্যবসায় মূলত যারা শহরে বহিরাগত ১ থেকে ২ দিনের জন্য শহরে থাকবে। তাদের থাকার জায়গার জন্য রুম লাগবে।
বিশেষ করে আমরা যখন বিভিন্ন জেলায় ঘুরতে অথবা কোন চাকুরীর পরীক্ষা দিতে যাই তখন কোথায় থাকবো তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যাই।আপনি মানুষের এই চিন্তামুক্ত করতে হোটেল ব্যবসায় চালু করতে পারেন, যা একদম ঝুঁকি ছাড়া ব্যবসায়।
মার্কেটিং ব্যবসায়
আমরা জানি সব ব্যবসায় মোটামুটি লাভ ও লস আছে। তবে মার্কেটিং ব্যবসায় হল এমন এক ব্যবসায় যা করতে আপনাকে শুধু প্রচার প্রচারণা এও অন্যের তথ্য নিয়ে প্রকৃত গ্রাহকদের কাছে পণ্য বিক্রি করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি শুধু মাধ্যম হিসাবে কাজ করবেন। সেক্ষেত্রে আপনার কোন ইনভেস্ট করতে হবে না।
মোটামুটি বলা যায় সব ব্যবসায় লস থাকলে মার্কেটিং ব্যবসায় তেমন কোন লস নেই। আপনি চাইলে অনলাইনে অন্যের পণ্য মাধ্যম হয়ে গ্রাহকের কাছে সহজে পণ্য বিক্রি করতে পারেন। আর এই ক্ষেত্রে অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ভাল পরিমান লাভবান হতে পারবেন।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবে মার্কেটিং করতে পারেন। যার ফলে এ ব্যবসায় আপনার কোন লস হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
চায়ের ব্যবসায়
চা পান করে না এমন লোক বাংলাদেশে খুব কমই পাওয়া যাবে। সময় অসময়ে আমরা বাজার ঘাট থেকে শুরু করে সব স্থানে চা খেয়ে থাকি। আর এ ব্যবসায়টা বর্তমানে অনেক লাভজনক ব্যবসায়। যার মধ্যে কোন লস নেই।
শুধু গরম পানি, একটু চিনি, চাপাতি দিয়ে তৈরি হয় চা। আপনারা চাইলে বাজারের আশেপাশে যেখানে লোকজন সব সময় থাকে সে স্থানে চায়ের দোকান দিতে পারেন যা একদম ঝুঁকি ছাড়া ব্যবসায়।
কোচিং সেন্টার ব্যবসায়
বেকারত্ব দূর করতে হলে অবশ্যই আমাদের সবাইকে শিক্ষিত হতে হবে। ভালভাবে পড়াশোনার জন্য আমরা প্রাইভেট ও কোচিং সেন্টারে পড়তে যাই। আপনি যদি ভাল একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার আশেপাশে ছোট বাচ্চাদের জন্য অথবা আপনার চেয়ে বয়সে কম শ্রেণীতে পড়ে তাদের জন্য কোচিং সেন্টার খুলতে পারেন।
এতে করে আপনার পড়াশোনার যেমন চর্চা হবে ঠিক তেমনি আপনি লাভবান হবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ভাল দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। যাতে করে বাচ্চারা কোচিং গিয়ে ভাল কিছু শিখতে পারেন। ভাল শিক্ষক হলে সবাই এমনিতেই পড়তে যেতে উদ্বুদ্ধ হবেন।
বাগান তৈরির ব্যবসায়
বাগান তৈরির ব্যবসায়টি লাভজনক ও লস ছাড়া ব্যবসার মধ্যে অন্যতম। আপনি বিভিন্ন বাগানের ডিজাইন তৈরি করে, গ্রাহকদের কাছে অনলাইন এর মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। গ্রাহকরা ডেমো দেখে, তাদের পছন্দ মতো ডিজাইন পছন্দ করবে। এরপর তারা ডিজাইন ঠিক করে আপনাকে অর্ডার দিবে।
এরপর আপনারা ডিজাইন বিক্রি করতে পারবেন। এই ব্যবসায় ঠিকভাবে প্রচার করতে পারলে, অনেক বেশি লাভজনক হতে পারবেন। এভাবে মানুষের বিল্ডিয়ের বারান্দায় অথবা ছাদে বাগান তৈরি করে ভাল টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
ডিলারশিপ ব্যবসায়
কোন কোম্পানির একটি নির্দিষ্ট এলাকা বা অঞ্চলের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করাকে ডিলারশিপ বলে। আবার অন্যভাবেও বলতে পারি, কোন ব্যক্তি যদি কোন কোম্পানির ডিলারশিপ নেয়। তাহলে সে ঐ এলাকা অথবা অঞ্চলে সেই কোম্পানির পণ্যের বিক্রয়সহ যাবতীয় দায়িত্ব পালন করে। আর যে এই কাজ করে থাকে, তাকে ডিলার বলে। আর এই ব্যবসায় গুলোতে লসের সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।
কারণ এই ব্যবসায় পণ্য নষ্ট হলে কিংবা পণ্য মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে ডিলারের কোন লস হয় না। সব কিছু কোম্পানি বহন করে থাকে। আবার এ ব্যবসায়ের আরেকটা সুবিধা হল, যে পণ্য নিয়ে ডিলার ব্যবসায় করবে। সে পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়া লাগে না, সব কোম্পানি দিয়ে থাকে। এই ব্যবসায় যদি কোন ব্যক্তি শুরু করতে চান।
তাহলে তাকে আগে কোম্পানির ম্যানেজার পরিক্ষা নিবে সেই পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এরপর সে ডিলারশীপ ব্যবসায় করতে পারবে। এখন প্রশ্ন হল কোন পণ্য নিয়ে ডিলারশীপ ব্যবসা করবেন? যে পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান। সেই পণ্যের বর্তমান বাজারের অবস্থা দেখতে হবে। এই সব কিছু দেখে তারপর ব্যবসায় শুরু করতে হবে।
স্টক ব্যবসায়
স্টক হচ্ছে কোন কিছু সংরক্ষণ করে রাখা। সহজভাবে বলতে কোন পণ্য গুদামজাতকরণকে বুঝায়। তা যেকোন পণ্য হতে পারে যেমনঃ পেঁয়াজ, রসুন, আলু ইত্যাদি। এই ব্যবসায় শুরু করার জন্য সবার আগে দেখতে হবে যে, কোন পণ্য সিজনাল আর কোন পণ্য নন সিজনাল।
সাধারণত যারা স্টক ব্যবসায় করে তাদের বেশিরভাগই নন সিজনাল পণ্যের গুদামজাত করে। আর এই পণ্য ধরে রাখে ততক্ষণ পর্যন্ত না ওই পণ্যের দাম আগের থেকে বেড়ে না যায়৷ যেসব স্টক পণ্য সবচেয়ে কম ঝুঁকিতে থাকে। যেমনঃ সুপারি, নারিকেল ইত্যাদি।
কেটারিং ব্যবসায়
কেটারিং ব্যবসায় হল খাবার পরিবেশন করা। ধরুন আপনি খুব ভাল মানের খাবার রান্না করতে পারেন। তা আপনি আপনার পরিচিত বন্ধুবান্ধব কিংবা আত্মীয় স্বজনদের রান্না করে খাওয়ালেন। তারা আপনার রান্না খেয়ে অনেক তারিফ করলেন। এরপর আপনার মনে হল এইভাবে রান্না করে আপনি বাহিরেও খাবার সাপ্লাই দিবেন।
আর সাপ্লাই দিতে দিতে দেখবেন অনেক বড় একটা ব্যবসায়তে পরিণত হয়েছে। এরপর আপনি আরও বেশি প্রফেশনাল হয়ে যাওয়ার পর দেখবেন আপনি বিভিন্ন বড় বড় প্রোগ্রামে অথবা বিভিন্ন বিয়ে বাড়িতে খাবার সাপ্লাই করতে পারবেন। এই ব্যবসায় লস হওয়ার কোন সুযোগ নেই। কারণ এই ব্যবসায় আপনি অর্ডার পাওয়ার পর খাবার সাপ্লাই দিবেন।
স্টেশনারি ব্যবসায়
স্টেশনারি ব্যবসায় বলতে আমরা দোকানে কলম, খাতা, পেপার, পেন্সিল এবং বাচ্চাদের শিক্ষামূলক খেলনা ও পড়াশোনার যাবতীয় সরঞ্জাম এবং কম্পিউটার পণ্য, বই, অফিস সরবরাহ ইত্যাদিকে বুঝি।
এই ব্যবসায় করতে হলে আপনাকে দোকান দিতে হবে কোন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস এলাকা অথবা কোন আবাসিক এলাকায়। এ ধরনের ব্যবসায় লস হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। এবং এসব পণ্য নষ্ট হয়ে যায় না, তাই ঝুঁকির সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।
ক্লিনিং সার্ভিস ব্যবসায়
বিভিন্ন অফিস বা প্রতিষ্ঠানে সব কিছু পরিষ্কার করার জন্য বেশিরভাগ অফিস ক্লিনিং সার্ভিসারদের ভাড়া করে থাকে। এই সার্ভিসটা বেশি জনপ্রিয় শহরগুলোতে। তবে বর্তমানে আস্তে আস্তে জেলা শহর গুলোতেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই ক্লিনিং সার্ভিস কোম্পানি ব্যবসায়তেও ঝুঁকি কম।
প্রিন্ট, মোবাইল রিচার্জ এবং মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়
প্রথমত এই ব্যবসায় জন্য প্রয়োজন ভাল একটা লোকেশন। কোন স্কুল, কলেজ, ও ইউনিভার্সিটি, অফিস এলাকা ও আবাসিক এলাকা দেখে লোকেশন ঠিক করা। বাংলাদেশের মানুষ সাধারণত মোবাইল ব্যাংকিং এর ওপর অনেক বেশি আস্থাশীল।
বর্তমানে বিকাশ, নগদ, ডাচ বাংলা, উপায় মোবাইল ব্যাংকিংসহ সব মোবাইল ব্যাংকিং অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ব্যবসায় শুরু করতে সাধারণত খুব বেশী মূলধনের প্রয়োজন হয় না। আর তাই লস ছাড়া ব্যবসায় হিসাবে একে হিসাবে রাখতে পারেন।
লন্ড্রি ব্যবসায়
লন্ড্রি ব্যবসায় লাভজনক হওয়ার জন্য প্রথমে ঠিক করতে হবে, দোকানের লোকেশন যাতে কোন আবাসিক এলাকায় হয়। কারণ লন্ড্রি দোকানের বেশিরভাগ কাস্টমার আবাসিক এলাকাতে হয়। এই ব্যবসায়তেও লস হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে যদি আবাসিক এরিয়া কেন্দ্রিক হয়।
ফটোগ্রাফি ব্যবসায়
আমরা সবাই ছবি তুলতে খুবই ভালবাসি। সেই ছবি যদি ভাল কোন ক্যামেরা অথবা ডিএসএলআর ক্যামেরায় তোলা হয় তাহলে কোন কথায় নেই। এমনকি আমরা আমাদের বিভিন্ন প্রোগ্রামে সেটা বিয়ে হোক বা জন্মদিনের প্রোগ্রাম সব ক্ষেত্রে কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি করে রাখতে চাই।
এই ব্যবসায় কেউ করতে চাইলে তাকে শুধুমাত্র একটা ক্যামেরা কিনতে হবে। আর ব্যবসায়টাকে প্রচার করতে হবে ফেসবুক অথবা অন্যান্য অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে। এই ব্যবসায় সাধারণত কোন লস নেই।
ফার্মেসি ব্যবসায়
এক সময় মানুষ অসুস্থ হলে প্রাকৃতিক উপায়ে রোগ মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করতো। সেই সময়ে মানুষের খাবার দাবার ছিল ভাল মানের। আর তাই তাদের রোগ বালাই তেমন হতো না। বর্তমানে মানুষ তাদের খাবারে এতো পরিমাণ ফরমালিন খাচ্ছে। যার জন্য এখন মানুষ অল্পতেই অসুস্থ হয়ে যায়। এখন মানুষ অনেক বেশি ওষুধ নির্ভর হয়ে গেছে।
ওষুধ ছাড়া তাদের এক দিনও চলে না। আর আমরা চাইলেই এই ফার্মেসি ব্যবসায় করতে পারি। এই ব্যবসা করার পূর্বে দোকানের স্থান ঠিক করে নিতে হবে। লোকেশন যাতে হাসপাতাল কেন্দ্রিক কিংবা জনবহুল কোন এলাকা কেন্দ্রিক হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই ব্যবসায়ও লসের সম্ভাবনা অনেক কম।
রিসেলিং ব্যবসায়
রিসেলিং ব্যবসায় বলতে অন্য কারও প্রোডাক্ট এর রিসেলার হয়ে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করাকে বুঝায়। রিসেলিং ব্যবসায় বিক্রির টাকার লাভের অংশ থেকে শতকরা হিসেবে উক্ত কোম্পানি আপনাকে পেমেন্ট করবে। বর্তমানে ইলেকট্রনিক প্রোডাক্ট নিয়ে বাংলাদেশের অন্যতম একটি বড় রিসেলার প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে বিডি শপ ডট কম। বিডি শপে আপনি রিসেলার হিসেবে কাজ করতে পারেন।
তবে এখানে প্রোডাক্ট এবং ব্যবসায়ের জন্য সম্পূর্ণ ইনভেস্ট থাকবে মালিকের। আপনার কাজ হচ্ছে শুধুমাত্র মালিকের হয়ে বিভিন্ন গ্রাহকদের কাছে প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করা। যার বিনিময়ে নির্ধারিত শতকরা (%) পেমেন্ট নিবেন। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে যাদের থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে রিসেলিং ব্যবসায় করতে পারেন।
শেষকথা, আপনি যে ব্যবসায় করেন না কেন সব ব্যবসাতেই লাভ লোকসান থাকবে। আমি যে ব্যবসায় গুলোর কথা আলোচনা করলাম সেগুলো যদি ভালভাবে করা যায়। তাহলে আশা করা যায় আপনারা অবশ্যই লাভবান হবেন।
আসলে প্রত্যেকটা কাজের পিছনেই সবারই পরিশ্রম, ধৈর্য ও অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। পরিশ্রম ছাড়া কোন ব্যবসায়তেই আপনার সফলতা আশা করা অনুচিত হবে। আপনি আপনার মেধা দিয়ে যেকোন কাজই করেন না কেন সব কাজেই আশা করি আপনি সফল হবেন।
বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url