ভোটার এলাকার নাম ও নাম্বার বের করার নিয়ম
যারা নতুন ভোটার হওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই ভোটার এলাকার নাম ও নাম্বার জানার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন। ভোটার আইডি কার্ড যাদের এখনো হয়নি বা যাদের এনআইডি কার্ড ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে তাদেরও ভোটার এলাকার নাম ও নাম্বার জানার প্রয়োজন হয়।
ভোটার এলাকার নাম ও নাম্বার বের করার নিয়ম |
ভোটার এলাকার নাম ও নাম্বার নতুন নিবন্ধনকারীরা ভোটার স্লিপ ব্যবহার করেই জেনে নিতে পারবেন। নিম্নে ভোটার এলাকার নাম ও নাম্বার বের করার বিষয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছেঃ
ভোটার এলাকার নাম ও নাম্বার বের করার নিয়ম?
যারা ভোটার হয়েছেন তাদের অনেকের কাছেই ভোটার নাম্বার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জাতীয় নির্বাচন বা এলাকাভিত্তিক নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটার নাম্বার প্রয়োজন হয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রতিটি ভোটারকে ভোট প্রদান করার জন্য একটি ইউনিক ভোটার নাম্বার প্রদান করা হয় যা অন্যদের সাথে মিলে না।অনেকের ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলেও ভোটার নাম্বারের মাধ্যমে তার এন আই ডি কার্ড পুনরায় উত্তোলন করা সম্ভব হয়। যারা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে এটা যাচাই করতে চাইলে ভোটার এলাকার নাম ও নাম্বার প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই ভোটারদের জন্য ভোটার নাম্বার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট।
প্রত্যেক উপজেলার নির্বাচন কমিশনের অফিসে উক্ত এলাকার ভোটারদের ভোটার নাম্বার ও এই সমস্ত তথ্য সংরক্ষিত করা থাকে যেখান থেকে আপনারা চাইলে খুব সহজেই জেনে নিতে পারেন। উপজেলা নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকে তারা তাদের অনলাইন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ভোটার এলাকা বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়।
তাছাড়া অনেক সময় উপজেলা ভিত্তিক নির্বাচন কমিশনের ভোটার তথ্য অনলাইন করা থাকে তখন তারা গুগলে সার্চ করার মাধ্যমেই ভোটার নাম্বার পেয়ে যেতে পারেন। তবে সব উপজেলার ভোটার নাম্বার আপনারা এই পদ্ধতিতে পাবেন না। ভোটার নাম্বার বের করার সব থেকে কার্যকারী উপায় হচ্ছে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের অফিসে চলে যাওয়া।
অথবা আপনার নিকটস্থ এলাকায় যখন ওয়ার্ড ভিত্তিক ভোটার তালিকা প্রদান করা হয় তখন আপনার নামের সাথে মিলিয়ে দেখা। তাছাড়া সরাসরি আপনার এলাকার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে সর্বশেষ ভোটার তালিকা থেকে আপনারা ভোটার নাম্বার দেখে নিতে পারেন। কেননা নির্বাচনে অংশগ্রহণকৃত প্রার্থীরা ও নির্বাচিত প্রতিনিধিরা উপজেলা নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকে সর্বশেষ ভোটার তালিকা সিডি নিয়ে আসেন।
যেখানে ওয়ার্ড ভিত্তিক ভাবে সকল ভোটারদের তথ্য দেওয়া থাকে। ধরুন আপনি কুশোকপুর গ্রামে বসবাস করে থাকেন। তাহলে এই ক্ষেত্রে ভোটার নাম্বার বের করার সব থেকে সহজ উপায় হচ্ছে কুশোকপুর গ্রামের নির্বাচিত প্রতিনিধি মেম্বার অথবা চেয়ারম্যান এর কাছ থেকে ভোটার তালিকার সিডি দেখে ভোটার নাম্বার বের করা। ভোটার নাম্বার বের করার জন্য আপনার নাম ও পিতা-মাতার নাম দেখে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ভোটার সিরিয়াল নাম্বার বের করার নিয়ম?
ভোটার সিরিয়াল নাম্বার ও ভোটার নাম্বার অনেকটা একই রকম। কোন ভোটারকে যদি ভোট প্রদান করতে হয় তাহলে অবশ্যই ভোটার সিরিয়াল নাম্বার লাগবে।ভোটার সিরিয়াল নাম্বার ব্যতীত কেউ ভোট দিতে পারবেন না।ভোটার লিস্টে যদি আপনার নাম এসে থাকে তাহলেই ভোট প্রদান করা যাবে। কেননা ভোটার লিস্টের নাম উঠে গেলে একজন ভোটারের সিরিয়াল নাম্বার ভোটার তালিকাতে চলে আসে। ভোটার তালিকা থেকে তখন চাইলে একজন ভোটার খুব সহজেই ভোটার সিরিয়াল নাম্বার টি বের করে নিতে পারবেন।
ভোটার এলাকার নাম ও নাম্বার সিলেট?
সিলেটে বসবাসরত যারা স্থানীয় ভোটার রয়েছে তারা চাইলে নিকটস্থ নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে অথবা নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছ থেকে ভোটার এলাকার নাম ও নাম্বার দেখে নিতে পারেন।ভোটার এলাকার নাম ও নাম্বার চট্টগ্রাম?
চট্টগ্রামে বসবাসরত স্থানীয় ভোটাররা ও নতুন নিবন্ধনকারী ভোটাররা চাইলে খুব সহজেই নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকে অথবা তাদের এলাকার নির্বাচিত কোনো প্রতিনিধির কাছ থেকে সর্বশেষ ভোটার তালিকার সিডি দেখার মাধ্যমে ভোটার নাম্বার বের করে নিতে পারবেন।ভোটার এলাকার নাম ও নাম্বার বরিশাল?
বরিশালে যারা বসবাস করে থাকেন তারা ভোটার এলাকার নাম ও নাম্বার নিকটস্থ উপজেলা নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকে জেনে নিতে পারবেন। কেননা উপজেলা নির্বাচন কমিশনের অফিসে বা জেলা নির্বাচন কমিশনের অফিসে ভোটার তালিকা বা ভোটার লিস্ট সংরক্ষিত করা থাকে যার মাধ্যমে ভোটার নাম্বার দেখা যাবে।একই পদ্ধতিতে আপনারা চাইলে ভোটার এলাকার নাম ও নাম্বার গাজীপুর, ভোটার এলাকার নাম ও নাম্বার রাজশাহী ও ভোটার এলাকার নাম ও নাম্বার বগুড়া দেখে নিতে পারবেন।
উপসংহার
ইতিমধ্যে ভোটার এলাকার নাম ও নাম্বার বের করার নিয়ম বা কিভাবে খুব সহজেই আপনারা কোন ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই ভোটার নাম্বার বের করবেন আশা করি ইতিমধ্যে এই বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। তাই ভোটার নাম্বার জানার সঠিক পদ্ধতি যারা জানতেন না তারা চাইলে উক্ত পদ্ধতিতে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url