এনআইডি কার্ড হারিয়ে গেলে কি করতে হবে
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি প্রদান করা হয়। একে ভোটার আইডি কার্ডও বলা হয়। চাকরির আবেদন থেকে শুরু করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, কোন কিছু ক্রয়সহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন হয়। যদি কোন কারণে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে যায়।
এনআইডি কার্ড হারিয়ে গেলে কি করতে হবে |
তবে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে ভয়ের কোন কারণ নেই জাতীয় পরিচয়পত্র আবার উঠানো যায়। সেজন্য আপনাকে কিছু নিয়ম কানুন মেনে আবেদন করতে হবে। চলুন সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেইঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে করণীয়?
- পরিচয়পত্রটি যে স্থানে হারিয়েছে, তার নিকটবর্তী থানায় যত দ্রুত সম্ভব একটি সাধারণ ডায়েরি করতে হবে।
- সাধারণ ডায়রি এর মধ্যে কোথায়, কিভাবে ও কখন জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়েছে তা উল্লখ করতে হবে।
- চুরি হয়ে যাওয়া জাতীয় পরিচয় পত্রের ক্ষেত্রেও থানায় জিডি করতে হবে।
- পরবর্তী সময়ে সাধারণ ডায়েরি করার কাগজপত্র সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
- জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেছে ও ইহা ব্যবহার করে পরবর্তী সময়ে সংঘটিত কোন অপরাধের দায়ভার যে আপনার না, তার প্রমাণ হিসেবে এই সাধারণ ডায়রি কাজ করবে।
- এছাড়াও যদি কেউ পরিচয়পত্রটি খুঁজে পেয়ে থানায় জমা দেয়, সেক্ষেত্রে আপনি তা সহজে ফেরত পেতে পারেন।
- সাধারণ ডায়েরি বা জিডির মূল কপিটিসহ জাতীয় পরিচয়পত্র পুনরায় উত্তোলনের জন্য থানা বা উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে আবেদন করতে হবে।
- আপনি চাইলে ঢাকার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে পারবেন।
- আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রার্থীকে জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ড পূনরায় ইস্যু করে দেওয়া হবে।
- ভোটার আইডি হারিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে জিডি করার সময় জিডি ফরমটির ২টি ফটোকপি করে নিবেন।
- দাখিল করা সাধারণ ডায়রির এক কপি থানায় রেখে দিবে ও অন্যটি আপনাকে দিয়ে দিবে।
এনআইডি কার্ড হারিয়ে গেলে কি কি তথ্য সংগ্রহ করতে হবে?
থানায় সাধারণ ডায়রি করার সময় কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে হবেঃ
- General Diary (GD) জিডি নাম্বার
- সাধারণ ডায়রি গ্রহণকারী পুলিশ কর্মকর্তার নাম
- পুলিশ কর্মকর্তার পদবি
- সাধারণ ডায়রি করার তারিখ
- জিডি কপিতে থানার সিল এবং সাক্ষর
এনআইডি কার্ড হারিয়ে গেলে ফি কত টাকা?
ভোটার আইডি কার্ড রি-ইস্যু করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ ফি পরিশোধ করতে হয়। প্রথমবার রি-ইস্যু করার জন্য আবেদন করতে মোট ২০০ টাকা জমা দিতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে ৭ কার্যদিবস পেতে চাইলে মোট ৩০০ টাকা জমা দিতে হবে।দ্বিতীয় বার আবেদনের ক্ষেত্রে যথাক্রমে মোট ৩০০ টাকা ও জরুরি ভিত্তিতে চাইলে মোট ৫০০ টাকা জমা দিতে হবে। এরপর পরবর্তী সময়ে যেকোন বার আবেদনের ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা জমা দিতে হবে ও জরুরি ভিত্তিতে চাইলে ১০০০ টাকা জমা দিতে হবে।
বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url