পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন চেক - ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন
বাইরের দেশে কোথাও গেলে বা অন্যান্য নিরাপত্তা জনিত কাজের কারণে অনেক সময় পাসপোর্টের প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই পাসপোর্ট করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজের মধ্যে একটি। পাসপোর্ট করার সময় পুলিশ ভেরিফিকেশন চেক করার প্রয়োজন পড়ে।
পুলিশ |
পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন চেক করার নিয়ম অনেকেই জানেন না। পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন চেক করার জন্য আপনারা একটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন।
ই পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করার নিয়ম এখান থেকে পেয়ে যাবেন। যারা ইতিমধ্যে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করেছেন বা পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন বলে ভাবছেন তাদের অবশ্যই এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জেনে রাখা উচিত।
কেননা পাসপোর্ট করতে হলে পুলিশ ভেরিফিকেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে একটি। নিম্নে পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন চেক করার নিয়ম বা পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন চেক স্ট্যাটাস সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন।
পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন চেক করার নিয়ম?
অনলাইনে যারা পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে চান তাদেরকে সরাসরি www.immi.gov.bd এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করতে হবে। ওয়েব সাইটটিতে ঢোকার পর এখানে পাসপোর্ট এপ্লিকেশন ইনকয়ারি অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে।
তারপরে পাসপোর্ট অফিস স্লিপ নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে খুব সহজেই পাসপোর্ট এর পুলিশ ভেরিফিকেশন চেক করে নেয়া যাবে।
তারপরও অনেকের বোঝার সুবিধার্থে পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন চেক করার উপায় নিচে টিউটোরিয়াল আকারে দেওয়া হলোঃ
ধাপ ১ঃ
পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন চেক করার জন্য আপনার কাছে অবশ্যই পাসপোর্ট অফিসের স্লিপ নাম্বার ও জন্ম নিবন্ধন কার্ড রাখতে হবে। কেননা এই তথ্যগুলো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনাদেরকে দিতে হবে।
প্রথমে আপনাদেরকে https://www.immi.gov.bd/ এই লিংকটিতে প্রবেশ করে ইমিগ্রেশন বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
ধাপ ২ঃ
ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করার পর এখান থেকে একটু স্ক্রল করে নিচের দিকে নেমে আসতে হবে পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন এনকোয়ারি নামক একটি মেনু রয়েছে মেনুতে প্রবেশ করতে হবে।
ধাপ ৩ঃ
মেনুতে প্রবেশ করার পর পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন সিলিপ নাম্বার, ও জন্ম তারিখ উল্লেখ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ ৫ঃ
তারপরে কিছু সময় অপেক্ষা করলে পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস চলে আসবে। এখান থেকে পাসপোর্ট আবেদনকারীর পাসপোর্ট অফিস সিলিপ নাম্বার, আবেদনকারীর Sb রিসিভ ডেট, ইনকোয়ারি অফিসের নাম ও মোবাইল নাম্বার সহ স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন।
এখান থেকে যদি পুলিশ ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস রিজেক্ট দেখায় তাহলে ইনকোয়ারি অফিসারের নাম্বারে সরাসরি ফোন করে যোগাযোগ করতে পারবেন।
পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস?
পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস নিয়ে অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে। পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস চেক করার জন্য www.immi.gov.bd সরাসরি এই ওয়েবসাইটটিতে চলে যাবেন।
এবং সেখানে পাসপোর্ট অফিসের আবেদন স্লিপ নাম্বার ওর জন্ম তারিখ দিয়ে খুব সহজেই ঢাকা মেট্রোর মধ্যে থাকা আবেদনকারীরা স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন।
তবে ঢাকা জেলার বাইরে বাংলাদেশের অন্য কোন জেলা থেকে পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস দেখা যাবে না। কেননা পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস সারা বাংলাদেশে দেখার মত কোন পদ্ধতি এখনো চালু হয়নি।
পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে কত টাকা লাগে | পুলিশ ভেরিফিকেশন ফি কত
পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন করার জন্য কোন বাড়তি অর্থ প্রদান করতে হয় না। তবে কেউ যদি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে তার কিছু বাড়তি অর্থ খরচ বহন করা লাগতে পারে।
পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে ৫০০ টাকা (১-৭৩০১-০০০১-২৬৮১) এই কোডে সোনালী ব্যাংক অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের যেকোনো শাখা থেকে ট্রেজারি চালান অথবা ডেপিট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়।
তাছাড়া শুধুমাত্র পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন করার জন্য কোন ধরনের ফি প্রযোজ্য এখন আপাতত নেই। তবে কেউ যদি পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন করার জন্য কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে চা কফি খাওয়ার জন্য কিছু বাড়তি টাকা দেন।
তাহলে এটা তার একান্ত ব্যক্তিগত খরচ হবে। তাছাড়া সরকারিভাবে পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন করার জন্য এখনও পর্যন্ত কোন চার্জ নির্ধারণ করা হয়নি।
পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে কি কি লাগে?
পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন এই বিষয়ে অনেকেই ধারণা রাখেন না। পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন করার জন্য আলাদা করে তথ্য দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
কেননা পুলিশ অফিসার সরাসরি আপনার কাছে এসে বা আপনার এলাকায় এসে সকল তথ্য মিলিয়ে দেখে যাবেন। অনেক পুলিশ অফিসার শুধুমাত্র ফোন কলের মাধ্যমে যাচাই করে থাকেন।
আবার অনেক পুলিশ অফিসার সরাসরি এলাকায় এসে দেখতে কেমন সেটা যাচাই করে যান। পুলিশ ভেরিফিকেশন করার সময় কোন কোন বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত করা হয় ও কি কি লাগে তা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- প্রার্থীর নাম লাগবে।
- আবেদনকারীর পিতার নাম ও তার জাতীয়তা কি সেটা লাগবে।
- আবেদনকারীর স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা প্রদত্ত ডকুমেন্ট লাগবে।
- প্রার্থীর জন্ম তারিখ ও জন্মস্থান সম্পর্কিত ডকুমেন্ট লাগবে।
- আবেদনকারী বিগত পাঁচ বছরে যে সকল ঠিকানায় অবস্থান করেছে সেটা জানা লাগবে।
- প্রার্থী যদি আগে কোন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন এই সকল তথ্যগুলো দেওয়া লাগবে।
- প্রার্থী ১৫ বছর হওয়ার পরে যে সকল প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছেন তার তথ্যসমূহ দেওয়া লাগবে।
- প্রার্থীর কোন কোটা থাকলে সেটা প্রমাণপত্র দিতে হবে ।
- প্রার্থীর নামে আগে কোন ফৌজদারি বা রাজনৈতিক মামলা ছিল কিনা।
- প্রার্থীর কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা আছে কিনা এবং প্রার্থীর নিকটস্থ কোনো আত্মীয় সরকারি কোনো কাজে কর্মরত রয়েছে কিনা।
- প্রার্থীর সামাজিক অবস্থান ও প্রার্থী ইতিপূর্বে কোন সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছে কিনা।
- প্রার্থী এর আগে কোন কাজে সাজাপ্রাপ্ত কিনা বা প্রার্থী দেশদ্রোহী ও নাশকতামূলক কোন কাজের সাথে লিপ্ত কিনা।
পুলিশ ভেরিফিকেশন করার সময় সাধারণত তদন্ত করতে এসে পুলিশ এই সকল তথ্যগুলো নিয়ে থাকেন। সকল তথ্য যদি সঠিক থেকে থাকে তাহলে পুলিশ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে আপনার পাসপোর্ট এর যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
আর যদি পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে ব্যর্থ হয়ে থাকেন, তাহলে আবারও আবেদন করে পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে হবে।
পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে কতদিন লাগে?
অনেকেই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে কতদিন সময় লাগে এই বিষয়ে জানেন না।পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হতে সাধারণত ৭ থেকে ১৫ দিনের মতো সময় লেগে থাকে।
এক্ষেত্রে পুলিশ অফিসারের কাছে আপনার দেওয়া বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা যদি আলাদা হয়ে থাকে তাহলে পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে সময় একটু বেশি লাগে।
আর যদি দায়িত্বরত পুলিশ অফিসারের কাছে আপনার স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা একই হয়ে থাকে তাহলে তাড়াতাড়ি পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়ে যায়। পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে দেরি হলেও ১৫ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ হয়ে যায়।
দায়িত্বের হাতে পুলিশ অফিসারের যদি অতিরিক্ত কাজের চাপ থাকে তবে বা আব্দুল কারী ব্যক্তির বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা আলাদা হয়ে থাকে তাহলে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটা শেষ হতে এই সময় লাগে।
পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে এসে টাকা চাইলে কি করবো?
পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে এসে দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার যদি বাড়তি কোন অর্থ চায় তাহলে কখনোই দিবেন না। তবে আপনি যদি তার নাস্তা খরচের জন্য বাড়তি কিছু অর্থ দেন তাহলে দিতে পারেন।
পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য কল না দিলে কি করবো?
পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন করার জন্য সর্বপ্রথম ব্যক্তিকে কল দেওয়া হয়। তারপরে ব্যক্তির অবস্থান যাচাই করা হয় এবং ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য নেওয়া হয়। পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য পুলিশ কল না দিলে সরাসরি দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের নাম্বারে কল দিয়ে জানানো যেতে পারে।
পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে কি আবার পুলিশের কাছে যাওয়া লাগে?
পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন করার জন্য কোন ধরনের ডিউটিরত পুলিশ অফিসারের কাছে যাওয়া লাগে না। পুলিশ অফিসার আপনার এলাকায় এসে সব কিছু যাচাই বাছাই করবে।
আমাদের শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি যারা বিস্তারিত ও মনোযোগ সহকারে পড়েছেন তারা পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন চেক বা পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন চেক স্ট্যাটাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন।
এভাবে চাইলে অনলাইন এর মাধ্যমেই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন চেক করা যাবে। এই নিয়ে আর কোন প্রশ্ন থেকে থাকলে বা পোস্টটি পড়ে কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।
বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url