নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
নিউমোনিয়া হচ্ছে সাধারণত এক ধরনের ফুসফুসের প্রদাহ। আমাদের ফুসফুসের আলফিওলি বা ছোট ছোট বায়ু থলিতে জীবাণুর সংক্রমণের কারণে এই রোগটির সৃষ্টি হয়ে থাকে। সারা বিশ্বে ব্যাপক পরিমাণ লোক প্রতিবছর নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
নিউমোনিয়া |
নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তির সংখ্যা অনেক বেশি। তাই নিউমোনিয়া রোগ প্রতিরোধ করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে এবং নিউমোনিয়া হলে করনীয় কি এই সম্পর্কেও আমাদের জানতে হবে।
নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ, নিউমোনিয়া রোগের কারণ কি ও নিউমোনিয়ার রোগের চিকিৎসা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দেওয়া হয়েছে।
নিউমোনিয়া কেন হয়। নিউমোনিয়া রোগের কারণ কি
নিউমোনিয়ার রোগ কেন হয় বা নিউমোনিয়া রোগের কারণ কি সর্বপ্রথম এই বিষয়ে জানা জরুরি। বিভিন্ন জীবাণুর সংক্রমণের কারণে নিউমোনিয়া রোগ হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বায়ুবাহিত ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের কারণে নিউমোনিয়া রোগ হয়।কোন কারনে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি দুর্বল হয়ে পড়ে তখন এই সকল জীবাণুর আক্রমণে নিউমোনিয়া রোগের সৃষ্টি হয়। সংক্রমণের ফলে অনেকের ফুসফুস ফুলে যায় এবং সেখান থেকে তরল স্রেষা বের হয়ে থাকে।
১. শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হতে পারে।
২. শ্বাস নেওয়া বা কাশির সময় বুকে ব্যথার মত অনুভূতি হতে পারে।
৩. তীব্র কাশি হতে পারে এবং তার সাথে হলুদ রঙের সর্দি হতে পারে।
৪. শরীরে উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর আসতে পারে।
৫. বুকে ব্যথা অনুভব হতে থাকবে।
৬.নিউমোনিয়া তে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সারা শরীরে ব্যথা হবে।
৭.অনেকের ক্ষেত্রে ক্লান্তি ভাব লক্ষ্য করা যায়।
৮.খাবারের প্রতি অরুচি দেখা দিতে পারে এবং কাশির সাথে রক্তপাত হতে পারে।
এই লক্ষণগুলো সাধারণত নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। তাই এই লক্ষণগুলো কখনো দেখা দিলে সরাসরি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ?
নিউমোনিয়া রোগ হলে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে। যার মাধ্যমে খুব সহজেই নিউমোনিয়া রোগীদেরকে সনাক্ত করা যায়। কেউ সংক্রমিত হলে এই লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে থাকে। যেমনঃ১. শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হতে পারে।
২. শ্বাস নেওয়া বা কাশির সময় বুকে ব্যথার মত অনুভূতি হতে পারে।
৩. তীব্র কাশি হতে পারে এবং তার সাথে হলুদ রঙের সর্দি হতে পারে।
৪. শরীরে উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর আসতে পারে।
৫. বুকে ব্যথা অনুভব হতে থাকবে।
৬.নিউমোনিয়া তে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সারা শরীরে ব্যথা হবে।
৭.অনেকের ক্ষেত্রে ক্লান্তি ভাব লক্ষ্য করা যায়।
৮.খাবারের প্রতি অরুচি দেখা দিতে পারে এবং কাশির সাথে রক্তপাত হতে পারে।
এই লক্ষণগুলো সাধারণত নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। তাই এই লক্ষণগুলো কখনো দেখা দিলে সরাসরি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
নিউমোনিয়া রোগের খাবারের তালিকা?
দ্রুত নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করার জন্য কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাওয়া যেতে পারে। নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত রোগীদের কে বার্লি, ওটস, বাদামি চালের মতো উচ্চ কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।কেননা এই সকল খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি রয়েছে যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে। যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাছাড়া এই সময়টাতে হলুদের পানি পান করা যেতে পারে।
তাছাড়া নিউমোনিয়ার চিকিৎসা কালীন সময়ে রোগীদের কে আদা, মধু ও কমলা লেবু খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে কেননা এই খাবারগুলো খাওয়ার মধ্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হয়ে থাকে।
নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসা। নিউমোনিয়া হলে কি করতে হবে
নিউমোনিয়ার চিকিৎসা সাধারণত বাড়িতেই সম্ভব। তবে এটা যখন মারাত্মক পর্যায়ে চলে যায় তখন অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। নিউমোনিয়া হলে রোগীদের কে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে।তাছাড়া এই সময়টাতে রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। নিউমোনিয়া রোগীদেরকে কুসুম গরম পানি, লবণ পানি অথবা লাল চা দেওয়া যেতে পারে। সর্দির জন্য নাকে নরমাল ড্রপ ব্যবহার করতে পারে।
এই সময়টাতে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অন্য কোন ড্রপ ব্যবহার করা যাবে না। এভাবে কিছুদিন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করলেও ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে খুব সহজেই নিউমোনিয়া থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি রয়েছে?
নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে ছোট শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা বেশি থাকে। তাছাড়া বহুদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছে, হৃদরোগ ফুসফুসের অন্যান্য কোন রোগের কারণেও নিউমোনিয়া হতে পারে।তাছাড়া যারা অতিরিক্ত পরিমাণে ধূমপান করেন তাদের নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কেননা অতিরিক্ত ধূমপান করার ফলে আমাদের ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমে যায় যার ফলে নিউমোনিয়ার মতো রোগগুলো সহজেই চলে আসে।
নিউমোনিয়ার ওষুধের নাম | নিউমোনিয়ার এন্টিবায়োটিক
নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর অবস্থা যদি খুবই খারাপ হয় তাহলে কোনভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোন ঔষধ সেবন করা যাবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ বাদে যদি কোন ঔষধ সেবন করেন তাহলে পরবর্তীতে রোগীর সমস্যা দেখা দিতে পারে।তাই ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে যদি নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করা না যায় তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
নিউমোনিয়া কি ছোঁয়াচে রোগ?
নিউমোনিয়া রোগটি ছোয়াচে কিনা এই নিয়ে আমাদের অনেকের প্রশ্ন রয়েছে। নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত রোগীকে স্পর্শ করলে নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।কিন্তু রোগীর কাশি এবং হাচির মাধ্যমে অন্যান্য ব্যক্তির মাঝে এই রোগ ছড়াতে পারে। এটাকে সাধারণত চিকিৎসার পরিভাষায় ড্রপলেট ইনফেকশন বলা হয়।
বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url