কবিতা আবৃত্তি করার নিয়ম

কবিতা সাহিত্যের এক অংশ। মানুষ নিজের মনের মাধুরি মিশিয়ে কোন কাল্পনিক বিষয় বা বাস্তবিক বিষয়কে যখন শব্দ দিয়ে সাজিয়ে তুলে সুন্দরভাবে যার মধ্যে থাকে ভাব, ছন্দ, উপমা এবং অলংকার তাকেই কবিতা বলে। 
কবিতা আবৃত্তি
কবিতা আবৃত্তি
একটি কবি রচনা করতে যেমন অনেকগুলো বিষয়ের সমন্বয় থাকা উচিত ঠিক তেমনি এই কবিতা রচনা করতেও অনেকগুলো বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। 

যে কোন শিল্পে পারদর্শী হতে হলে সেই বিষয়ে একাধিক বার এমনকি যতক্ষণ না ঐ বিষয়ে পুরোপুরি সফল হওয়া যায় তার চর্চা চালিয়ে যাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান শর্ত। 

চর্চা করা কবিতা আবৃত্তি করার নিয়ম এর প্রধান শর্ত হলেও আরো এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা একটি সুন্দর, প্রাঞ্জল কবিতা আবৃত্তি করার নিয়ম এর মধ্যে পড়ে। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি সেই কবিতা আবৃত্তি করার নিয়ম সম্পর্কেই জানবেন।

কবিতা আবৃত্তি করার নিয়ম?

কবিতার আবৃত্তি করার নিয়ম কেমন হওয়া উচিত, কি কি বিষয় এখানে জানতেই হবে যা না জানলে আপনার কবিতা তার আসল রূপ প্রকাশ করতে পারবেন না আর এর আসল অর্থও হারিয়ে যাবে। 

আর তাই চলুন এক নজরে দেখে নেই কবিতা আবৃত্তির নিয়মগুলো কি কিঃ

আবৃত্তি কর্মশালায় যোগদান

কবিতা আবৃত্তি যদি আপনি আসলেই দক্ষ হতে চান তাহলে আবৃত্তি কর্মশালায় যোগ দেওয়ার মতো ভালো পরামর্শ হতেই পারে না! 

কারণ এই কর্মশালার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে আবৃত্তি করতে হয়, উচ্চারণ, স্বর, ধরণ, কবিতার ভাব ধরে রাখা ইত্যাদি আরো অনেক বিষয়, যা একটি সুন্দর কবিতা আবৃত্তির জন্য অপরিহার্য।

উচ্চারণ

কবিতা আবৃত্তির জন্য অবশ্যই আপনার উচ্চারণ সঠিক হতে হবে। প্রতিটি বর্ণ, শব্দ, যুক্তবর্ণের সঠিক উচ্চারণ জানতে হবে। আর প্রমিত বাংলা শব্দের উচ্চারণে কবিতা শেখা ও চর্চা করা উচিত। এর জন্য কিছু বই সংগ্রহ করেও নিয়ম শেখা যাবে। 

আঞ্চলিকতা পরিহার করা

প্রতিটি মানুষের নিজস্ব আঞ্চলিকতা রয়েছে আর সেই ভাষাই সে কথা বলতে ভালোবাসে। কিন্তু কবিতা আবৃত্তি করার সময় এই আঞ্চলিকতা পরিহার বাঞ্চনীয়। কারণ আপনার নিজস্ব ভাষায় উচ্চারিত কবিতা সকলে বুঝতে পারবেন না।

স্বর ঠিক রাখা

একটি কবিতায় কখনো আপনার স্বর উঁচু করতে হতে পারে আবার কখনো নিচু। কবিতায় কখনো প্রচন্ড তেজ দিয়ে শব্দ উচ্ছারণ করতে হতে পারে আবার কখনো আবেগী গলায়, এই সকল বিষয়গুলো এক নয় তাই স্বরের স্কেল শেখা উচিত।

কবিতাটি অনুধাবন করা

আপনি যেই কবিতাটি আবৃত্তি করছেন তা যদি আপনি ভিতরে ধারণ করতে না পারেন তাহলে তা আপনি কখনোই প্রকৃতভাবে কন্ঠে ফুঁটিয়ে তুলতে পারবে না। 

তাই যেই কবিতাই আবৃত্তি করুন না কেন তা বারবার পড়ার মাধ্যমে ভিতরে ধারণ করার চেষ্টা করুন তার মূল বোধটা ধরুন।

নিজস্বতা বজায় রাখুন

অবশ্যই কবিতা আবৃত্তির নিয়মগুলো আপনাকে অনুসরণ করতে হবে কবিতা আবৃত্তির সময় তদুপরী আপনার কিছু নিজস্বতা থাকতে হবে যা আপনাকে অন্য আবৃত্তিকারী থেকে আলাদা করবে।

নিয়মিত রেওয়াজ

কবিতা আবৃত্তির সময় রেওয়াজে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা বেশ জরুরি। প্রতিদিন তাই চেষ্টা করা উচিত যেন অন্তত ১ ঘন্টা রেওয়াজ করা। নিয়ম ও রেওয়াজের ভিতর থাকলে আবৃত্তির সৌন্দর্য বজায় থাকবে।

শেষকথা

কবিতা আবৃত্তি করার নিয়ম নিয়েই ছিল আজকের এই আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু। কবিতা আবৃত্তি হলো একটি শিল্প আর এই শিল্প তখনই তার আসল সৌন্দর্য প্রকাশ করতে পারবে যখন তা সঠিকভাবে করা হবে। 

কবিতা আবৃত্তি করার নিয়ম তো আপনি এই পোস্ট থেকে জেনে নিলেন কিন্তু তারপরও একটি কথা থেকে যায় আর তা হলো নিয়ম আপনি যতই শিখেন আর জানেন না কেন কবিতাকে শিল্পে পরিণত করে নিজের গলায় ফুটিয়ে তোলা আবৃত্তিকারীর কাজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url