হার্প টেকনোলজি কি - হার্প প্রযুক্তি কে আবিষ্কার করেন

টেকনোলজি আমাদের বর্তমান পৃথিবীকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে গেছে। যার সুযোগ সুবিধা আমরা সবাই ভোগ করতেছি। তবে এই উন্নত টেকনোলজি মানব জীবনকে সহজতর করার পাশাপাশি মানব জীবনকে হুমকির মুখে ফেলতেও সক্ষম হয়েছে।
হার্প টেকনোলজি
হার্প টেকনোলজি
হ্যাঁ, এটাই একদম সত্যি কথা। আর এমন এক ধরনের টেকনোলজির নাম হচ্ছে হার্প টেকনোলজি। আজকের এই আর্টিকেলে থাকছে হার্প প্রযুক্তি এর পূর্ণরূপ কি, হার্প টেকনোলজি কি, হার্প টেকনোলজির বৈশিষ্ট্য?

কোন দেশে হার্প টেকনোলজি আছে? হার্প টেকনোলজি কাকে বলে, হার্প টেকনোলজি দিয়ে কি কি দুর্যোগ সৃষ্টি করা যায় ইত্যাদি। মূলত এই হার্প টেকনোলজি হচ্ছে এমন এক ধরনের টেকনোলজি যার মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্টি করা সম্ভব।

আর আজকে আর্টিকেলে আমি আপনাদেরকে এই হার্প টেকনোলজি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানিয়ে দিব।

হার্প প্রযুক্তি এর পূর্ণরূপ কি?

হার্প প্রযুক্তি এর পূর্ণরূপ হল হাই ফ্রিকুয়েন্সি একটিভ অরোরাল রিসার্চ প্রোগ্রাম High Frequency Active Auroral Research Program (HAARP)।

হার্প টেকনোলজি কি?

হার্প টেকনোলজি হচ্ছে এমন এক ধরনের উন্নত প্রযুক্তি। যার মাধ্যমে মানুষ কৃত্রিমভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো বড় বড় দুর্যোগ সৃষ্টি করতে পারে। আর এই হার্প দিয়ে ভূমিকম্প কিংবা বৃহৎ আকারের জলচ্ছাস ও তৈরি করা সম্ভব।

প্রত্যেকটি দেশ তার প্রতিরক্ষার উন্নতির জন্য এই হার্প টেকনোলজির ব্যবহার করে থাকে। এবং যেকোন ধরনের যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে ইহা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

হার্প টেকনোলজি কাকে বলে?

যে সকল টেকনোলজির মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো বড় বড় দুর্যোগ গুলো কৃত্রিমভাবে তৈরি করা সম্ভব হয় সেগুলোকে হার্প টেকনোলজি বলে। সিনেমাতে যেমন হিরো আর ভিলেন থাকে। ঠিক তেমনিভাবে টেকনোলজির জগতে ভিলেনের ভূমিকা পালন করা উন্নত প্রযুক্তি হচ্ছে হার্প টেকনোলজি। 

কারণ হচ্ছে এটি হলো মানব সভ্যতার জন্য খুবই হুমকি।
হার্প টেকনোলজি এতোটাই শক্তিশালী যে এর মাধ্যমে এক দেশে বসে থেকে, অন্য একটি দেশের মধ্যে কৃত্রিম প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়।

হার্প টেকনোলজির বৈশিষ্ট্য?

  • হার্প টেকনোলজি ব্যবহার করে ইচ্ছে মতো যেকোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্টি করা সম্ভব।
  • এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সামাজিক দুর্যোগ সৃষ্টির ফলে পরিবেশগত অনেক ধরনের ক্ষতি হয়।
  • খুব সহজেই রণক্ষেত্রে কোন প্রকার ঝুঁকি ছাড়াই যুদ্ধ পরিচালনা করা যায়।
  • দেশ ও নিজের প্রতিরক্ষা করার জন্য এ প্রযুক্তির ভূমিকা খুবই অপরিসীম।
  • দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত হয় ও শত্রুপক্ষ যুদ্ধে টিকতে পারে না।

হার্প টেকনোলজি কে আবিষ্কার করেন?

সার্বীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলার হার্প টেকনোলজি সদৃশ অস্ত্রের ধারণাটি সর্বপ্রথম মাথায় আসে। তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিকোলা টেসলা হার্প টেকনোলজি সম্পর্কে গবেষণা করেছেন। 

কিভাবে প্রাকৃতিক শক্তিকে কেন্দ্রীভূত করে একে একটি অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগানো যায়। শিরোনামে এক প্রবন্ধে তিনি হার্প টেকনোলজি সম্পর্কে লিখেছেন যে, একে অনেকটা লেজার গানের সঙ্গে তুলনা করা যায়।

লেজার গানের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা এমন হচ্ছে যে নির্দিষ্ট একটি স্থানে কেন্দ্রীভূত করে রশ্মিটি ফেলা হয়। এক্ষেত্রেও তেমনি ঘটবে শুধু রশ্মিটি আসবে প্রাকৃতিক মাধ্যম থেকে।

হার্প টেকনোলজি দিয়ে কি কি দুর্যোগ সৃষ্টি করা যায়?

হার্প টেকনোলজি দিয়ে অনেক ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্টি করা যায়। আর সেই দুর্যোগের নাম গুলো হচ্ছেঃ
  • হার্প টেকনোলজি মিসাইল কিংবা আকাশযান এর মতো বড় বড় অস্ত্রকেও কাবু করতে সক্ষম।
  • এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সহজে প্লাজমা মেঘ তৈরি করা যায়।
  • এক স্থানে বসে থেকে অন্য স্থানের মধ্যে থাকা চুম্বক শক্তিকে পরিবর্তন আনা যায়।
  • জলচ্ছাসের মতো বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ তৈরি করা যায়।

কোন দেশে হার্প টেকনোলজি আছে?

সত্যি কথা বলতে কোন দেশের মধ্যে হার্প টেকনোলজির প্রচলন আছে। সেটি এখনও কোন দেশ আনু্ষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করেনি। তবে বরাবরের মতো পশ্চিমা দেশ গুলোকে সবচেয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে।

আর ২০২৩ সালে তুরস্কত ও সিরিয়াতে হওয়া ভূমিকম্পের জন্য তাদেরকে সবচেয়ে বেশি সন্দেহ করা হয়েছে। যাইহোক, এই হার্প টেকনোলজি মানুষের জন্য হুমকি সে বিষয়ে আপনার নিশ্চিত থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url