জাল টাকা চেনার উপায়

সাধারণত নকল টাকাকেই জাল টাকা বলা হয়। জাল টাকা অনেকটাই দেখতে আসল টাকার মতো। অনেক সময় আসল টাকা এবং জাল টাকার মধ্যে পার্থক্য করাটা অনেক ভোগান্তির কারণ হয়ে থাকে। জাল টাকা যখন সাধারণ মানুষের কাছে চলে আসে তখন তারা এর জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকেন। 
জাল টাকা চেনার উপায়
জাল টাকা চেনার উপায়
কারো কারো এর জন্য আইনি ঝামেলায় জড়াতে হয়। তাই আমরা অনেকেই মনে মনে ভেবে থাকি যে জাল টাকা চেনার যদি সঠিক উপায় থাকতো তাহলে এই সকল ভোগান্তিতে আর পড়া হতো না। 

আজকের পোস্টে আমি জাল টাকা চেনার উপায় বা আপনারা নকল টাকা কিভাবে চিনবেন সেই সম্পর্কে আলোচনা করবো। এর জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি বিস্তারিত এবং মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

জাল টাকা চেনার উপায় | জাল টাকা চেনার সহজ উপায় কি

যারা জাল টাকার ভোগান্তিতে পড়তে চান না তারা চাইলে কয়েকটা পদ্ধতি অবলম্বন করেছে খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারেন। জাল টাকা কিভাবে চিনবেন তার কয়েকটি উপায় নিচে দেওয়া হলোঃ

জাল টাকায় অস্পষ্ট মুদ্রণ লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশে সাধারণত ১০০,৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট গুলোতে ডানপাশে হেলানো সাতটি সমান্তরাল লাইন থাকে। আর সেই হেলানো লাইনের নিচে বৃত্তাকার ছাপ দেখা যায়।

১০০০ টাকার নোটে পাঁচটি বৃত্তাকার ছাপ, ৫০০ টাকার নোটে চারটি বৃত্তাকার ছাপ এবং ১০০ টাকার নোটে তিনটি বৃত্তাকার ছাপ থেকে থাকে যা হাতের স্পর্শে উঁচু-নিচু লেগে থাকে।

জাল নোট গুলোতে জলছাপ অস্পষ্ট এবং নিম্নমানের হয়ে থাকে। আসল টাকাতে বাঘের মাথা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রামের স্পষ্ট জল ছাপ রয়েছে। আর এগুলো আলোর বিপরীতে দেখা যাবে।

তাছাড়া ১০০ টাকা ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার নোটে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো সম্বলিত নিরাপত্তা সুতা থেকে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো নিরাপত্তা চারটি স্থানে মুদ্রিত থাকে।

এই নিরাপত্তা সুতা দিয়ে আঁচড়ে কোনোভাবেই বের করতে পারবেন না। আর যদি আপনার হাতের নোটটি জাল হয়ে থাকে তাহলে নিরাপত্তা সুতাটি খুব সহজেই নখ দিয়ে আঁচড়ে বের করা যাবে।

১০০, ৫০০ এবং ১০০০ টাকা সব ধরনের নোটের উপরের দিকে ডান দিকের কোনায় ইংরেজি সংখ্যায় লেখা মূল্যমান রং পরিবর্তনশীল কালিতে মুদ্রিত রয়েছে।

১০০ এবং ১০০০ টাকার নোট টি আস্তে আস্তে নড়াচড়া করালে নোটের মূল্যমান লেখাটি সোনালী হতে আস্তে আস্তে সবুজ রঙে পরিবর্তিত হয়। জাল নোটে আপনারা এই ভাবে যদি টাকা নড়াচড়া করান তাও সেটার রং পরিবর্তন হবে না।

১০০, ৫০০ এবং ১০০০ টাকার প্রত্যকটি নোটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম ব্যবহার করা হয়েছে যেটা নোটটি একটু নাড়াচাড়া করলে আপনারা দেখতে পারবেন।কিন্তু জাল নোটে এটি দেখা যাবে না।

আসল নকল টাকা চেনার উপায়?

জাল টাকা চেনার খুবই সহজ।আপনারা উক্ত পদ্ধতি ব্যবহার করে খুব সহজেই টাকা আসল কিনা নকল সেটা চেক করে নিতে পারবেন।

তাহলে আপনাদের পরবর্তীতে কোন ধরনের ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হবে না। আশাকরি এতক্ষণে জাল টাকা চেনার উপায় সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

জাল নোট সনাক্তকরণ মেশিন?

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা জাল টাকা চেনার মেশিন রয়েছে কিনা সেটা সম্পর্কে জানতে চান। হ্যাঁ বর্তমানে বাংলাদেশেও আপনারা জাল টাকা শনাক্তকরণ করার জন্য মানি চেকআপ মেশিন পেয়ে যাবেন।

এই মেশিনের মাধ্যমে খুব সহজেই জালনোট সনাক্তকরণ করা যাবে।বর্তমান বাজারে মানিক চেকারের অনেক ধরনের মেশিন রয়েছে আপনারা নিজেদের বাজেট অনুযায়ী এই ধরনের মেশিন গুলো কিনতে পারেন।

জাল টাকা চেনার অ্যাপ?

জাল টাকা চেনার জন্য আমাদের সকলকেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেক সময় আমরা সচেতন হয়েও জাল টাকার সমস্যা থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারিনা।

আপনারা চাইলে নিজের এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে এক ধরনের অ্যাপ ডাউনলোড করে সেটার মাধ্যমে জাল টাকা চিনতে পারবেন। যারা জাল টাকা শনাক্তকরণ করতে চান তারা চাইলে Counterfeit Money Detector এই অ্যাপটির মাধ্যমে শনাক্ত করতে পারেন।

আমাদের শেষ কথা

বাংলাদেশ জাল টাকা বিপুল পরিমাণে তৈরি হয়ে থাকে। আর এই সকল টাকা সাধারণত ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়ে থাকে। 

তাই আপনারা চাইলে কিছুটা সচেতন হওয়ার মাধ্যমে জাল টাকার সমস্যা থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে পারবেন। জাল টাকা চেনার উপায় গুলো যদি আপনারা জেনে গিয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url