দর্শন কি - দর্শন নিয়ে পড়লে কি হওয়া যায়

সম্ভবত দর্শন সাবজেক্ট নিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা হতাশায় ভুগছেন যে দর্শন নিয়ে পড়লে কি হওয়া যায়? কারণ অর্থনীতি নিয়ে পড়লে অর্থনীতিবিদ অথবা LAW নিয়ে পড়ে আইনজীবী হয়ে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করা যায়। কিন্তু দর্শন নিয়ে পড়লে কি হবে?
দর্শন
দর্শন
আপনার মনেও যদি এরকম তাচ্ছিল্যের মনোভাব অথবা হতাশা কাজ করেছে। তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনযোগ সহকারে পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

দর্শন কি?

দর্শন কিংবা দর্শনশাস্ত্র জ্ঞানের একটি প্রাচীন এবং স্বতন্ত্র শাখা। দর্শন শব্দের ইরেজি হল Philosophy, আর এই Philosophy শব্দটি গ্রিক ভাষা φιλοσοφία (ফিলোসোফিয়া) থেকে এসেছে। দর্শনের আক্ষরিক অর্থ হল জ্ঞানের প্রতি ভালবাসা। 

জগৎ, জীবন, মানুষের সমাজ, তার চেতনা ও জ্ঞানের প্রক্রিয়া নিয়ে যে শাস্ত্র আলোচনা করে তাই দর্শন। আর যে ব্যক্তি দর্শন চর্চা করেন তাকে বলা হয় দার্শনিক। থেলিস, সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টটল, পিথাগোরাস, ফ্রান্সিস বেকন এবং কনফুসিয়াস প্রমুখ বিখ্যাত দার্শনিকের নাম শুনেনি এমন শিক্ষার্থী খুব কমই আছে।

প্রাচীনকালে দর্শনশাস্ত্র কেবল জ্ঞানের প্রতি অনুরাগ থেকে জ্ঞান অনুসন্ধান এবং চর্চার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।দর্শনই সকল শাস্ত্রের মূল, ইংরেজিতে বলা হয়ে থাকে Philosophy is the mother of all knowledge। দর্শন কলা অনুষদভুক্ত একটি বিভাগ যেখানে নন্দনতত্ত্ব, মনস্তত্ত্ব, রুপক, যুক্তিসহ জ্ঞানের গভীর বিষয়াবলি শেখানো এবং চর্চা করানো হয়। 

যা একজন মানুষের বুদ্ধিভিত্তিক উন্নয়নসহ বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা ও জটিল সব সমস্যার সমাধানের সক্ষমতা বাড়িয়ে শক্ত মূল্যবোধ গঠন করতে সহায়তা করে। বর্তমানে দর্শনশাস্ত্র জ্ঞান আহরণের পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম অর্জনের জন্যও চর্চা করা হয়। 

বাংলাদেশে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় দর্শন উচ্চ শিক্ষার একটি বিষয় হিসেবে বেশি পরিচিত। তবে শিক্ষার যথার্থ মূল্যায়ন না থাকায় ও চাকরি পাওয়াই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হওয়ায় দেশে দর্শনের তেমন কদর নেই বললেই চলে। অথচ উন্নতশীল দেশগুলোতে একটি মর্যাদাপূর্ণ বিষয় হিসেবে মূল্যায়িত হয়।

দর্শন নিয়ে পড়লে কি হওয়া যায়?

বাংলাদেশে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা অনুযায়ী একজন ছাত্র ছাত্রী প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর অনার্স অথবা ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে।

মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য বিষয় নিবার্চনের সময় অনেক শিক্ষার্থী সংশয়ে মধ্যে পড়েন।এসময় দর্শন নিয়ে তাদের প্রথম প্রশ্ন এবং চিন্তার কারণ হয়, দর্শন নিয়ে পড়লে কি হওয়া যায়? 

দর্শন নিয়ে পড়লে ক্যারিয়ার অর্থাৎ ভবিষ্যতে জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম কি কি হতে পারে? কেননা দুঃখজনক হলেও সত্যি এটাই যে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পঠিত বিষয়গুলোর সাথে সরাসরি সম্পর্কিত চাকরির যথেষ্ট সংকট রয়েছে।

বেশিরভাগ সমস্যা হল শিক্ষার্থীরা একটি সিলেবাসে পড়ে, কিন্তু বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় মূল্যায়ন করা হয়, ভিন্ন একটি সিলেবাসে। তবে আশার বাণী হল দেশে অথবা বিদেশে দর্শনের শিক্ষাকে সরাসরি কাজে লাগানোর মতো এখনো অনেক পেশা রয়েছে।

এছাড়াও অন্যান্য সকল প্রতিযোগিতামূলক চাকরির ব্যবস্থাতো আছেই। চলুন জেনে নেয়া যাক, দর্শন পড়ে কি হওয়া যায়। বা দর্শন পাঠের ভবিষ্যৎ কি?

দার্শনিক

সক্রেটিস সাহেবের খুব সুন্দর একটা উক্তি আছে যেমনঃ যে করেই হোক কেন বিয়ে করুন। কপাল ভাল হলে আপনি সুখী হবেন, আর কপাল খারাপ হলে হবেন দার্শনিক। যাইহোক দার্শনিক হওয়ার জন্য আপনাকে বিয়ে করতে হবে না। 

তবে দর্শন সাবজেক্ট নিয়ে পড়লে আপনি দার্শনিক হয়ে যেতে পারেন। দর্শনের ইতিহাস বলেই এই বিষয় পাঠের মূল উদ্দেশ্য ছিল, দার্শনিক হওয়া। যার ধারাবাহিকতা এখোনও বিদ্যমান। 

মার্কিন দার্শনিক নোয়াম চমস্কি, ফরাসি দার্শনিক জ্যাক দেরিদা ও মিশরীয় মুসলিম দার্শনিক হাসান হানাফী কিংবা বাঙালি দার্শনিক সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ্ এবং হাসনা বেগম প্রমুখ হতে পারে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

আপনার জ্ঞানের প্রতি গভীর অনুরাগ থাকলে, চাইলেই আপনি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কঠিন অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে দার্শনিক হতে পারেন। এবার আপনি দার্শনিক হয়ে ইনকাম করবেন কিভাবে? এক্ষেত্রে আপনি বই লিখতে পারেন ও সেমিনারে / কোর্স করাতে পারেন।

এথিক্স অ্যাডভাইজার

বর্তমান বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোতে এথিক্স অ্যাডভাইজার পদের চাকরিগুলো কেবল দর্শনের শিক্ষার্থীদের জন্যই সংরক্ষিত।

সাংবাদিক

বর্তমানে যারা সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে নির্বাচন করতে চান তাদের জন্য দর্শন একটি চমৎকার পছন্দ। কেননা দর্শনের নীতিশাস্ত্র ও রাজনৈতিক দর্শন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ইতিহাসের কোর্সগুলো আপনাকে কেবল লিখতে শিখাবে না।

পাশাপাশি যেকোন ঘটনাকে সমালোচনামূলকভাবে বিশ্লেষণ করতে ও গবেষণা করতে শেখাবে যা সাংবাদিক হাতে সাহায্য করে।

শিক্ষক

শিক্ষকতা একটি সার্বজনীন পেশা। যেকোন বিষয় নিয়ে পড়লেই সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক হওয়া খুবই সহজ। দর্শনের বেলাও এর ব্যতিক্রম নয়। দেশের সমস্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগ রয়েছে। ভাল রেজাল্টের মাধ্যমে এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উক্ত বিষয়ে শিক্ষকতার সুযোগ রয়েছে। 

এক্ষেত্রে দর্শন বিষয় স্নাতকোত্তর ডিগ্রির প্রয়োজন হয় থাকে।
কেউ চাইলেই অনার্স পাশ করে সরকারি অথবা বেসরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক লেভেলে লেকচারার হিসেবে যোগদান করতে পারে। এছাড়াও যথেষ্ট প্রস্তুতি থাকলে দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও দর্শনের শিক্ষক হওয়া সম্ভব।

গবেষক

গবেষণার কাজে দর্শনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দেশে বিদেশে দর্শনসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা ও বিভিন্ন সেক্টরে গবেষকের চাহিদা রয়েছে। এর জন্য দর্শন শিক্ষার সার্টিফিকেট লাগে।

দেশের বাইরে গবেষণার বিশেষ গুরুত্ব থাকায় স্কলারশিপ নিয়ে গবেষণা করা কিংবা গবেষক হওয়ার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।

সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা

মিলিটারি সার্ভিস যেমনঃ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনীসহ অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা হওয়ার জন্যও অনার্সের বিষয় অন্তরায় নয়। 

নির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষা এবং ট্রেনিংয়ের মধ্য দিয়ে দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। যেখানে উচ্চশিক্ষার সার্টিফিকেটই মুখ্য, সাবজেক্ট বিবেচিত নয়।

সরকারি কর্মকর্তা

বর্তমান দর্শন নিয়ে পড়লে সরকারের হাতেগোনা কিছু বিভাগ ছাড়া প্রায় সব বিভাগেই চাকরির সুযোগ রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতির আলাদা প্রস্তুতি নিতে হয়। এর বিনিময়ে সুযোগ সুবিধাও অনেক বেশি পাওয়া যায়।

ব্যাংকার

সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে ব্যাংকার একটি স্মার্ট জব। প্রতিবছরই সরকারি অথবা বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকে অনেক অনেক লোক নিয়োগ দেয়া হয়। চাকরির বাজারে এখন ব্যাংকার একটি জনপ্রিয় চাকরি যেখানে সময়ের সাথে প্রোমোশন সহ নানান সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়।

স্ক্রাইব

বর্তমানে এটি একটি নতুনধারার চাকরি। বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই নবীন ধারার কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছে। মূলত বিদেশি ডাক্তারদের উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করে দেশে বসে এ্যাসিস্ট করাই সাধারণত স্ক্রাইবদের কাজ।

যেখানে যেকোন বিষয়ের স্নাতক পাস শিক্ষার্থীরাই আবেদন কিংবা কাজ করতে পারে। প্রধানত দর্শনের শিক্ষার্থীরা নিঃসংকোচে এই পেশায় যোগ দিতে পারে। কর্পোরেট সেক্টর হওয়ায় বেতন ভাতাও সন্তোষজনক হয়ে থাকে।

সাহিত্যিক

সাহিত্যিক হওয়া সাধনা এবং নিষ্ঠার ব্যাপার। নির্দিষ্ট কিছু নিয়মনীতি মেনে সৃজনশীল লেখনীর অবিরাম চর্চা থাকলে যে কোন ব্যক্তি সাহিত্যিক হতে পারে এবং সততার সাথে লেখার অধ্যবসায় চালাতে পারলে এটি পেশা হিসেবেও নেয়া যায়। এজন্য দর্শন পাঠ আদর্শ স্বরূপ।

কেননা সাহিত্য সৃষ্টির জন্য ইতিহাস জানা খুবই প্রয়োজন যা দর্শনে পঠিত বিষয়। অন্যদিকে দর্শন পাঠ একজন ব্যক্তিকে কঠিন সমস্যা নিয়ে চিন্তা করা, আড়ালে থাকা বিষয়কে তুলে আনা অথবা জীবন ও সমাজের কোন জটিল সমস্যার উপর আলোকপাত করতে শেখায়।

দর্শন পড়ে কবি

যেগুলো একজন সাহিত্যিকের ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভুক্ত। ফলে দার্শনিক কিংবা সাহিত্যিকের মধ্যে নানান মিল পাওয়া যায়। 

প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত কমবেশি সকল দার্শনিকই সাহিত্য চর্চা করেছেন। সঠিক পদ্ধতিতে নৈতিকতার সাথে সাহিত্য চর্চা ক্যারিয়ার গড়ে তোলার সুন্দর একটি মাধ্যম।

ব্যবসায়ী

জীবিকা নির্বাহের জন্য কিংবা অর্থ উপার্জনের জন্য ব্যবসায় একটি উন্মুক্ত পেশা। যে কেউ যেকোন সময় ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ ক্যারিয়ার গড়তে পারে। কিন্তু ব্যবসায় শুরু থেকে সফল হওয়া পর্যন্ত যেই চ্যালেঞ্জিং সময় পার করতে হয়, তার জন্য দর্শন বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা নিলে কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে।

ব্যবসার নীতি বুঝতে হলে যে ক্রিটিক্যাল থিংকিং এর প্রয়োজন হয়, তা দর্শন পাঠের মাধ্যমে আয়ত্ত করতে হয়। সাধারণত অনেকে অন্যের অধীনে চাকরি করারকে পরাধীনতার শামিল মনে করে থাকে। তাদের জন্য ব্যবসায়ী হয়ে ক্যারিয়ার গড়ার স্মার্ট চয়েজ।

সম্পাদক

বর্তমান বিভিন্ন প্রকাশনা কিংবা সংবাদপত্রগুলোর জন্য সম্পাদক থাকে, সম্পাদনা করার জন্যও দর্শনের জ্ঞান থাকা আবশ্যক। অর্থাৎ দর্শন পড়ে সম্পাদনা পেশায়ও যাওয়া যায়।

ফ্রিল্যান্সার

বর্তমান মানুষ তথ্যপ্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। চাকরির বাজারে মন্দা, ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করার সুযোগসহ নানান ধরনের সুবিধা থাকায় বহুল প্রচলিত জীবিকা নির্বাহের একটি মাধ্যম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং সম্পূর্ণ প্রযুক্তি নির্ভর একটি পেশা। 

যার আরো একটি বিশেষ সুবিধা হল যেকোন বিষয়ে পড়াশোনা করে কিছু নির্দিষ্ট প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ঘরে বসে দেশ বিদেশের নানান কোম্পানির সাথে কাজ করা যায়। তাই দর্শন নিয়ে পড়ার পর যে কেউ যেকোন সময় ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারবে।

বিসিএস ক্যাডার

বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সম্মানীয় ও লোভনীয় চাকরি হল বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস(বিসিএস)। এ চাকরিতে অনার্সের বিষয়ের কোন প্রভাব থাকে না। বরং দর্শনের সিলেবাস অনুযায়ী বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির কিছু বিষয় বিসিএস (BCS) প্রস্তুতিতে সহযোগিতা করে।

উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পর যেকোন বিষয়ে চার বছরের অনার্স কিংবা স্নাতকোত্তরসহ তিন বছরের ডিগ্রি পাস হলেই বিসিএস পরীক্ষার জন্য আবেদন করা যায়।

দর্শনের একজন শিক্ষকের মুখ থেকে শুনুন দর্শন নিয়ে পড়লে কি হওয়া যায়?

দর্শন হল একটি অভিজাত ও সমৃদ্ধ শাস্ত্র। নিষ্ঠার সাথে দর্শন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষার্থীদের নানান পেশায় নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে। তাই নিঃসঙ্কোচে দর্শনকে উচ্চ শিক্ষার জন্য নির্বাচন করার পরামর্শ রইলো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url