আবাসিক হোটেল ভাড়ার নিয়ম

আবাসিক হোটেলগুলো হচ্ছে অনেক লোকের জন্য আবাসনের একটি অপরিহার্য রূপ, বিশেষ করে যারা নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের জন্য। আমরা অনেকেই আবাসিক হোটেল কে একক রুম হিসেবেও চিনে থাকি।
হোটেল
হোটেল
এই সকল আবাসিক হোটেল গুলোতে একদিন থেকে শুরু করে সাত দিন পর্যন্ত থাকা যায়। আবাসিক হোটেল ভাড়া বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে এই শর্তাদি গুলো না মানলে কোনভাবেই আবাসিক হোটেল ভাড়া নিতে পারবেন না।

আজকের পোস্টে খুবই সুন্দর ভাবে আলোচনা করা হবে আবাসিক হোটেল ভাড়ার নিয়ম বা বর্তমানে কোন স্থানে আবাসিক ভাড়া কত নেওয়া হয়ে থাকে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাকঃ

আবাসিক হোটেল ভাড়ার নিয়ম?

বর্তমানে আবাসিক হোটেল ভাড়ার নিয়ম একেক স্থানে একেক রকম থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিছু সাধারন নিয়ম ফলো করা হয়ে থাকে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে নিউইয়র্ক সিটিতে আবাসিক হোটেল গুলোর ভাড়া স্থিতিশীলকরন।

অর্থাৎ এগুলো আইনের অধীন সবকিছুই সেখান থেকে ভাড়া সহ যাবতীয় দেখভাল করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে আবাসিক হোটেল ভাড়া নিতে হলে বেশ কিছু নিয়ম আপনাদেরকে ফলো করতে হবে এই বিষয়ে নিচে কিছুটা ধারণ দেওয়া হলোঃ

আবাসিক হোটেল ভাড়া দেওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন হয়ঃ

  • আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন হবে। 
  • জাতীয় পরিচয় পত্র ও আয়কর সনদ প্রয়োজন হবে। 
  • সিভিল সার্জন থেকে অনুমোদিত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক কর্তৃক আপনার স্বাস্থ্যের সনদ প্রদান করতে হবে। 
  • আপনার আবাসিক হোটেলের মধ্যে বা যে আবাসিক হোটেলে থাকবেন সেখানে বিদ্যুত, গ্যাস, অগ্নি এর ক্ষেত্রে কতটা নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা রয়েছে তার একটি সনদপত্র লাগবে। 
  • আবাসিক হোটেল যে জমির উপর অবস্থিত সেই জমির মালিকানা দলিল অথবা ভাড়া নিলে ভাড়ার চুক্তিনামা দিতে হবে। 
  • নিজের জেলার প্রশাসক কার্যালয় থেকে একটি নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে হবে। 
  • আপনাকে অবশ্যই একটি ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। 
  • আবাসিক ভবন তৈরি করার আগে অবশ্যই আপনাদেরকে সরকারের অনুমতি পত্র নিতে হবে। 
  • এগুলোর পাশাপাশি আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। 
আবাসিক হোটেল ভাড়া দেওয়ার জন্য সাধারণত এই সকল শর্তাদি গুলো প্রয়োজন হয়ে থাকে। নিচে আবাসিক হোটেল ভাড়ার নিয়ম বা আবাসিক হোটেল ভাড়া নেওয়ার জন্য কি কি লাগে তা উল্লেখ করা হলোঃ

আবাসিক হোটেল ভাড়া নেওয়ার নীতিমালা | ভালো আবাসিক হোটেল চেনার উপায়

আমরা এতক্ষণে আবাসিক হোটেল ভাড়া দেওয়ার নীতিমালা সম্পর্কে জানতে পারলাম এবার জানতে হবে আমরা যদি দূরে কোন স্থানে যাই তাহলে সেখানে আবাসিক হোটেল ভাড়া কিভাবে নিব বা আবাসিক হোটেল ভাড়া নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কেঃ
  • সর্বপ্রথম আবাসিক হোটেলে থাকতে গেলে নিরাপত্তাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
  • অর্থাৎ হোটেল কর্তৃপক্ষ যদি আপনাকে ভালো নিরাপত্তা প্রদান করতে পারে তাহলে সেখানে থাকবেন। 
  • কোন আবাসিক হোটেল ভাড়া করার আগে অবশ্যই আশেপাশের মানুষজনের কাছ থেকে সেই হোটেল সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। 
  • হোটেলের পরিবেশ দেখতে হবে কিছু হোটেল রয়েছে যারা ডেকোরেশন এর কারণে অনেক বেশি চার্জ করে থাকে। 
  • তাই শুরুর দিকে চেষ্টা করতে হবে বেশি আলিশন হোটেলে না গিয়ে সিম্পল হোটেলে থাকতে। 
  • হোটেল ভাড়া নেওয়ার পূর্বে হোটেলের রিসিপশন দেখতে হবে। 
  • ভালো হোটেলগুলোর রিসিপশন সুন্দর ও পরিষ্কার হয়ে থাকে।
  • তাই রিসেপশন দেখলেই আইডিয়া পাওয়া যাবে ওই হোটেলের পরিবেশ কেমন হবে। 
  • হোটেল ভাড়া নেওয়ার আগে ফ্রি ওয়াইফাই, এসি, টাইলস করা রুম, বারান্দা এইসব আছে কিনা যাচাই করে নিতে হবে। 
  • রুম ভাড়া করার আগে রুম ও বাথরুম ভালোভাবে চেক করে নিতে হবে। 
  • হোটেল রুম ভাড়া করার আগে নিজে গিয়ে সরাসরি একবার চেক করে আসতে হবে। 
  • বাথরুমের কোয়ালিটি ও বাথরুম কেমন পরিষ্কার থাকে। 

ঢাকা আবাসিক হোটেল ভাড়া নিয়ম?

ঢাকায় আবাসিক হোটেল ভাড়া করার অবশ্যই কিছু নিয়ম রয়েছে। আপনারা যদি ঢাকাতে আবাসিক হোটেল ভাড়া নিতে চান তাহলে এই নিয়মগুলো আপনাদেরকে অবশ্যই অবলম্বন করতে হবেঃ
  • প্রথমে আপনাকে হোটেলের অভ্যর্থনা কক্ষে গিয়ে জানাতে হবে আপনি কেমন রুম পাচ্ছেন। 
  • তারা আপনাকে সেই রকম রূম দেখাবে। আপনি এখানে নিজের পছন্দ অনুযায়ী রুম খুব সহজেই দেখে নিতে পারবেন। 
  • রুম দেখানোর পর তারা আপনাকে রুমও দামের ব্যাপারে বলবে এবার আপনি যদি রুম ও দাম পছন্দ করে থাকেন তাহলে কিছু ডকুমেন্ট দিয়ে হোটেল ভাড়া করতে পারবেন। 
  • কনফার্ম করার পর হোটেল কর্তৃপক্ষ রুমটি সাজিয়ে আপনার থাকার জন্য উপযোগী করে দিবে ও আপনার কাছে হোটেল রুমের চাবি দিবে।

যশোর আবাসিক হোটেল ভাড়ার নিয়ম?

যশোরে যদি কেউ আবাসিক হোটেল ভাড়া করতে চাই তাহলে তাদের কিছু নিয়ম ফলো করে তারপর আবাসিক হোটেল ভাড়া নিতে হবে। নিচে যশোর আবাসিক হোটেল ভাড়া নেওয়ার নিয়ম উল্লেখ করা হলোঃ
  • যশোরে আবাসিক হোটেল ভাড়া নিতে হলে সর্বপ্রথম আপনাদেরকে হোটেল অভ্যন্তরে চলে যেতে হবে এবং কেমন রুম চান সেটা তাদেরকে বলতে হবে।
  • হোটেল কর্তৃপক্ষ আপনাকে কিছু সময়ের মধ্যে রুম দেখাবে এবং রুম যদি আপনার পছন্দ হয় তাহলে রুমের দাম বলবে।
  • আপনি যদি রুমের দাম শুনে কনফার্ম করে থাকেন তাহলে এবার আপনার কাছে কিছু ডকুমেন্ট নেবে এবং কিছু টাকা এডভান্স নেবে হোটেল ভাড়ার জন্য। 
  • তারপরে হোটেল কর্তৃপক্ষ আপনার কাছে রুমের চাবি দিবে আপনি তারপর সেখানে গিয়ে থাকতে পারবেন। 

কুমিল্লা আবাসিক হোটেল ভাড়ার নিয়ম?

ঢাকা ও কুমিল্লার আবাসিক হোটেল ভাড়া করার নিয়ম অনেকটা একই। নিচে কুমিল্লার আবাসিক হোটেল ভাড়া করার নিয়ম উল্লেখ করা হলোঃ
  • কুমিল্লাতে আবাসিক হোটেল ভাড়া করার জন্য সর্বপ্রথম হোটেল কর্তৃপক্ষ রুমে চলে যেতে হবে।
  • হোটেল কর্তৃপক্ষের রুমে গিয়ে আপনি কোন ধরনের হোটেলে থাকতে চান বা কোন ধরনের রুম আপনার লাগবে সেটা বলতে হবে। 
  • তারপরে আপনাকে সেখানে গিয়ে হোটেল রুমের পরিবেশ ও অন্যান্য সবকিছু যাচাই বাছাই করে দেখতে হবে। 
  • রুম যদি পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে রুমের দামের বিষয়ে বলতে হবে। 
  • তারপরে সেখানে কিছু ডকুমেন্ট জমা দিয়ে হোটেল রুমের চাবি নিয়ে থাকতে হবে। 
শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা আবাসিক হোটেল ভাড়ার নিয়ম বা আবাসিক হোটেল কিভাবে ভাড়া করা যায় এই বিষয়ে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন। 

তারপরেও যদি এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থাকে বা পোস্টটি পড়ে কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝতে কোন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url