ইট ভাটার ব্যবসা শুরু করার নিয়ম

বর্তমানে ইট ভাটার ব্যবসা খুবই লাভজনক ব্যবসার মধ্যে ধরা হয়ে থাকে। যত দিন যাচ্ছে ইটের চাহিদা যেন আরো অনেক বাড়ছে। তাই সঠিক নিয়মে যদি ইটভাটার এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়। তাহলে এই ব্যবসার মাধ্যমে খুব দ্রুতই একজন সফল ব্যবসায়ীতে পরিণত হওয়া সম্ভব। 
ইট ভাটার ব্যবসা
ইট ভাটার ব্যবসা
আজকে আমি আপনাদেরকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আলোচনা করব কিভাবে আপনারা ইটভাটার ব্যবসা শুরু করবেন সেই সম্পর্কে। 

ইট ভাটার ব্যবসা শুরু করার নিয়ম?

যদি নিজে ইটভাটা দিতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনার অনেক বেশি বুঝি লেগে যাবে। ইটভাটার ব্যবসাটি অনেকে করতে পারেন না সঠিক পরিমাণে মূলধন না থাকার কারণে। 

আপনি যদি ইটভাটার ব্যবসাটি শুরু করতে চান তাহলে আপনার এক কোটি টাকা মূলধন এর প্রয়োজন হবে। 
ভালো একটি স্থান দেখে ইটভাটা দিতে হবে এবং স্থানটি যেন এমন হয় যাতে যানবাহন চলাচলের রাস্তা থাকে।

ইটভাটা তৈরি করতে পুঁজি 

ইটভাটা তৈরি করার জন্য ৩০ লক্ষ থেকে এক কোটি টাকার মতো পুজি লাগতে পারে। প্রতি হাজার ইট তৈরি করতে ব্যয় হবে চার হাজার টাকা থেকে ৪২০০ টাকার মত।

আপনারা এই ইট বিক্রি করতে পারবেন প্রতি হাজার ৭০০০ থেকে ৭৫০০ টাকা মত। একটি ইটভাটা দেয়ার পর মৌসুমে ৫০ থেকে ৮০ হাজার ইট তৈরি করা সম্ভব। 

ইটভাটা তৈরি করার জন্য উপকরণ 

মাটি, ছাঁচ, মটির মন্ড তৈররি জন্য মেশিন, লোকবল, ইট পোড়ানো চুল্লি, চিমনি, জ্বালানী। ইটভাটা চালানোর জন্য এই উপকরণগুলোর অবশ্যই প্রয়োজন হবে।

ইট ভাটার লাইসেন্স | ইট ভাটার লাইসেন্স ফি

ইটভাটা চালানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে লাইসেন্স করতে হবে না হলে যেকোনো সময় জরিমানা করা হতে পারে। আপনারা চাইলে ইটভাটা তৈরীর জন্য অনলাইনের মাধ্যমে এখন খুব সহজেই লাইসেন্স করে নিতে পারেন।

আপনারা নিচের দেওয়া লিঙ্কটি ব্যবহার করে এখান থেকে খুব সহজেই ইটভাটার লাইসেন্স এর ফরম পেয়ে  যাবেন। 

ইটভাটার লাইসেন্স ফরম লিংক?

ইটভাটার লাইসেন্স ফরম লিংক

ইট ভাটা তৈরীর নিয়ম?

সাধারণত ইট তৈরীর ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে ইটের ভাটা। ইটভাটা তৈরি করা হয় কৃষি জমিতে অর্থাৎ যেখানে কার মাটি তৈরির জন্য উপযোগী সেই জমিতে। প্রথম পর্যায়ে মাটি আর পানি মিশিয়ে মনডো তৈরি করা হয়ে থাকে। 

তারপর এই মনড কে কাঠের ছাঁচে ফেলে ইটের মতো আকৃতি দেওয়া হয়। তারপরে সেগুলো খানিকটা শুকিয়ে নেয়া হয় এবং চুলের ভেতর দিয়ে সেগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়। ইট পোড়ানোর জন্য কয়লা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

ইট পুড়িয়ে একদম লাল করে ফেলা হয়। ইট পোড়ানোর ৭ থেকে ৫ মিনিট পর চুল্লি নিভিয়ে দেওয়া হয়।তারপর সেখান থেকে একটু বের করে নেওয়া হয়।

ইটভাটার ব্যবসায় লাভ কেমন? 

আপনারা যদি ইটভাটার ব্যবসাটি করতে চান তাহলে ইটভাটার ব্যবসায় কেমন লাভ হতে পারে সেই সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকাটাও জরুরি। 

ইটভাটার ব্যবসাটি যদি সঠিক নিয়মে করতে পারেন তাহলে এই ব্যবসার মাধ্যমে আপনারা বছরে ৫০ লক্ষ থেকে এক কোটি টাকা অনায়াসে লাভ করতে পারবেন।

শেষ কথা, আশাকরি ইটভাটার ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন এবং ইটভাটার ব্যবসায় লাভ কেমন সেই সম্পর্কে আপনারা এতক্ষণে সঠিক ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। 

তারপরও যদি কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url