সাইন্স নিয়ে পড়লে কি হওয়া যায় - সাইন্স এর সাবজেক্ট কি কি
আপনি যদি সাইন্স নিয়ে পড়তে আগ্রহী হন, তাহলে সুন্দর ক্যারিয়ার গঠনে সাইন্স নিয়ে পড়লে কি হওয়া যায়? তা জানা খুবই জরুরি। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পরে জেনে নিন সাইন্স নিয়ে পড়লে কি হওয়া যায়।
সাইন্স |
সাইন্স এর পূর্ণরূপ কি?
সাইন্স এর পূর্ণরূপ হল Systematic and Comprehensive Investigation and Exploration of Nature's Causes and Effects (science)। science শব্দটি হল লাতিন শব্দ 'সায়েন্টিয়া (scientia)' থেকে এসেছে, যার অর্থ হল জ্ঞান।সাইন্স কি?
সাইন্স (Science) এই শব্দের অর্থ বিজ্ঞান বা বিশেষায়িত জ্ঞান। কোন বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং পদ্ধতিগত ভাবে গবেষনার পর যে সুসংবদ্ধ জ্ঞান অর্জিত হয় তাকে সাইন্স বা বিজ্ঞান বলে। এই পৃথিবীর সকল কিছুর মাঝেই অন্তর্নিহিত বিশেষায়িত জ্ঞান রয়েছে। তাই সাইন্স পড়াশোনার সবচেয়ে বড় বিভাগ হিসেবে প্রতিফলিত হয়েছে।সাইন্স বিভাগে বিশেষ জ্ঞানভিত্তিক বিষয়গুলো যেমনঃ রসায়ন, পদার্থ, গনিত, জীববিজ্ঞান, ক্লিনিক্যাল সাইন্স, নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োকেমিস্ট্রি, মনোবিজ্ঞান সহ নানান বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা যায়। বর্তমান একটি ভাল ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে অবশ্যই সাইন্স নিয়ে পরতে হবে।
কাদের সাইন্স নিয়ে পড়া উচিত?
সাইন্স বিভাগে পড়ালেখা করা সবার জন্য সম্ভব নয়। এ বিভাগে পড়ার জন্য স্বাভাবিকের তূলনায় একটু বেশি মেধাশীল এবং পরিশ্রমী হতে হয়। তবে সাইন্স একটি কৌতূহল পূর্ন বিষয় হওয়ার কারণে বিশ্বের বিশেষ বিশেষ তথ্যের আদ্যোপান্ত জানতে অদম্য আগ্রহ থাকলেও সাইন্স নিয়ে পড়া যায়।তবে তার জন্য সাইন্স নিয়ে পড়লে কি হওয়া যায় সে বিষয়ে অবশ্যই জ্ঞানার্জন করতে হবে। অন্যদিকে ক্যারিয়ারের বিষয়ে লক্ষ করে সাইন্স নিয়ে পড়ার জন্য অবশ্যই পারিবারিক অর্থনৈতিক অবস্থা তূলনামূলক ভাল হতে হবে। তা নাহলে সাইন্স নিয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
HSC শেষ করার পড় বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইন্সের বিশেষ কোন বিষয় যেমনঃ মেডিক্যাল সাইন্স কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে পড়তে বিশ্ববিদ্যালয় ও ল্যাব খরচসহ অনেক অর্থ প্রদান করতে হয়। তাই আপনার যদি সাইন্সের বিষয়ের প্রতি অবাধ আগ্রহ ও মেধা থাকে।
আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিশ্রমী হন সেই সাথে আপনার আর্থিক অবস্থাও ভাল থাকে। তাহলে ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে সাইন্স আপনার জন্য সর্বোত্তম বিষয়।
সাইন্স এর সাবজেক্ট কি কি?
মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সাইন্সের বিষয়সমূহ বিজ্ঞানভিত্তিক কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট। নিচে সাইন্সের বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হলঃউচ্চ মাধ্যমিকে সাইন্স এর সাবজেক্ট কি কি?
উচ্চ মাধ্যমিকে সাইন্সের বিষয়গুলো ১ম পত্র এবং ২য় পত্র অনুযায়ী ভাগ করা থাকে। যেমনঃ- গনিত ১ম ও ২য় পত্র
- রসায়ন ১ম ও ২য় পত্র
- জীববিজ্ঞান ১ম ও ২য় পত্র
- পদার্থ ১ম ও ২য় পত্র।
মাধ্যমিকে সাইন্স এর সাবজেক্ট কি কি?
- জীববিজ্ঞান (Biology)
- পদার্থবিজ্ঞান (Physics)
- উচ্চতর গণিত (Higher Math)
- রসায়ন (Chemistry)
বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইন্স এর সাবজেক্ট কি কি?
- গণিত
- পদার্থবিজ্ঞান
- ফার্মেসি
- উদ্ভিদ বিজ্ঞান
- প্রাণীবিদ্যা
- মনোবিজ্ঞান
- প্রান রসায়ন
- পরিবেশ বিজ্ঞান
- কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
- মৃত্তিকা বিজ্ঞান
- পরিসংখ্যান
- বায়োকেমিস্ট্রি
- রসায়ন
- মাইক্রো বায়োলজি
- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং
- ম্যাটেরিয়াল সাইন্স
- রোবটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং
- মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং
- নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং।
বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইন্সের অনেকগুলো বিষয় রয়েছে। তবে ক্যারিয়ারের জন্য চাহিদা সম্পন্ন ভাল চাকরির সুযোগ রয়েছে এমন বিষয়গুলো সম্পর্কে এবং বিষয়ভিত্তিক চাকরি সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলঃ
গণিত
গণিত বিষয়ে পড়ালেখা করলে আপনার চাকরি অনিবার্য। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এখন গনিত বিষয়ে পড়ালেখা করে, শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছে।তবে গণিত বিষয় পড়ালেখা করা অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন ব্যাংকের উচ্চতর পোস্টে চাকরি করছেন। এছাড়াও অনার্স শেষ করার পর BCS সম্পূর্ন করতে পারলে যেকোন ক্ষেত্রেই সরকারি চাকরির সুযোগ রয়েছে।
পদার্থবিজ্ঞান
পর্বেক্ষন দক্ষতা, বিশ্লেষনী ক্ষমতা এবং গবেষনার দক্ষতা থাকলে পদার্থ বিজ্ঞানে সকল প্রকার পদার্থ বিষয়ক জ্ঞান অর্জন করা যায়।এক্ষেত্রে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান, যন্ত্রাংশ নির্মান কোম্পানি, মাইনিং ইন্ডাস্ট্রি অথবা পদার্থ গবেষনা প্রতিষ্ঠানে কাজ পাওয়া যায়। বাংলাদেশে দিন দিন এই খাতে বহু লোকের কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে।
রসায়ন
রসায়ন বিষয় নিয়ে পড়লে কঠোর অধ্যবসায় প্রয়োজন হয়। তবে রসায়নের বিষয়ভিত্তিক চাকরির বাজার অনেক ভাল, সেই সাথে প্রতিযোগিতাও অনেক কম। এ বিষয়ে পড়ালেখা করে বিভিন্ন গবেষনা ল্যাব।যেমনঃ ঔষুধ কোম্পানির ল্যাব, বিভিন্ন গার্মেন্টস এর কেমিক্যাল ল্যাব কিংবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানিগুলোতেও চাকরি পাওয়া যায়।
ফার্মেসি
সাইন্সের বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে ফার্মেসি বিষয়ে পড়ালেখার চাহিদা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে কম প্রতিযোগিতামূলক চাকরির জন্য সবচেয়ে বেশি চাকরির সুযোগ রয়েছে ফার্মেসি বিষয়ে পড়লে। যেমনঃ- বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি গবেষনা প্রতিষ্ঠান
- সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক্যাল ফার্মাসিস্ট
- ফার্মেসি ম্যানেজার ইত্যাদি।
উদ্ভিদ বিজ্ঞান
উদ্ভিদ বিজ্ঞান নামের মাঝেই এ বিষয়ে সাইন্স নিয়ে পড়লে কি হওয়া যায় তা স্পষ্ট বোঝা যায়। এ বিষয়ে পড়ালেখা করলে যেমনঃ- কৃষি অফিসার
- ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি
- শিক্ষকতা
- আন্তর্জাতিক সংস্থার হয়ে কাজ করা যায়।
- কৃষি গবেষনা ল্যাব ইত্যাদি।
প্রাণী বিদ্যা
প্রাণীবিদ্যা প্রাণীর রোগ, জীবনকাল, বাসস্থান এবং ডিসেকশন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে জীবনমুখী শিক্ষার একটি বিষয়। যদি নিজের ইচ্ছা থাকে তবেই এ বিষয় নিয়ে পড়া যায়।এ বিষয়ে চাকরির বাজার বেশ ভাল এবং প্রতিযোগিতাও কম। এ বিষয়ে পড়ালেখা করলে যেমনঃ
- বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল
- বন অধিদপ্তর
- বিসিএস করে অন্যান্য ভালো চাকরি
- শিক্ষকতা
- মৎস অধিদপ্তর ইত্যাদি।
মনোবিজ্ঞান
মনোবিজ্ঞান লেখাপড়ার একটি বিস্তর বা শাখা। মূলত মানুষের মৌলিক বিষয় নিয়ে জ্ঞানদান করার অন্যতম বিষয় হল মনোবিজ্ঞান। এ বিষয়ে পড়ালেখা করলে যেমনঃ- সাধারণত হাসপাতাল
- সরকারি বেসরকারি ক্লিনিক
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- স্বাস্থ্যকেন্দ্র
- মানসিক স্বাস্থ্য গবেষণাকেন্দ্র ইত্যাদিতে চাকরি করা যায়।
প্রান রসায়ন
প্রান রসায়নে সাধারণত প্রানীর অভ্যন্তরীন রাসায়নিক অবস্থা সম্পর্কে পড়ানো হয়। এ বিষয়ে পড়ালেখা করলে যেমনঃ বিভিন্ন ঔষুধ কোম্পানিতে ডাক্তারি গবেষনামূলক কাজ করা যায়।পরিবেশ বিজ্ঞান
পরিবেশ সম্পর্কিত নানান তথ্য এবং উন্নয়নের জ্ঞান পরিবেশ বিজ্ঞান পড়লে জানা যায়। এর চাকরির ক্ষেত্রসমূহ অনেক। যেমনঃ- জাতীয় বন বিভাগ
- কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদফতর
- মাছ ও বন্যপ্রাণী বিষয়ক অধিদপ্তর
- কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট
- প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ইত্যাদিতে চাকরি করা যায়।
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
সাইন্সের অন্যতম একটি বিষয় হল কম্পিউটার বিজ্ঞান। এর বিস্তৃতি সমগ্র বিশ্বে কতটা তা আর বলার বাকি রাখে না। এ বিষয়ে পড়ালেখা করলে বেকারত্বের সম্ভাবনা খুবই কম। যেমনঃ- বিভিন্ন IT Firm
- Computer Development
- সরকারি কম্পিউটার প্রকৌশলী
- আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ রয়েছে।
- এছাড়াও নিজেই উদ্যোক্তা হয়েও কাজ করা যায়।
মৃত্তিকা বিজ্ঞান
মাটির রাসায়নিক, জৈবিক অবস্থা, জৈবনিক প্রক্রিয়া, জারন ও বিজারন, ইকোলজি, বায়োটেকনোলজি নিয়ে মৃত্তিকা বিষয়ে পড়ানো হয়। এ বিষয়ে চাকরির ক্ষেত্রসমূহ হলঃ- বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট
- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
- মৃত্তিকা গবেষনা ইন্সটিটিউট
- শস্য বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র ইত্যাদি।
পরিসংখ্যান
মূলত পরিসংখ্যানে শৃঙ্খলা, তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণের বিষয়বস্তু নিয়ে পড়ানো হয়। বৈজ্ঞানিক কাজে, শিল্প বা সামাজিক সমস্যায় কিংবা বিভিন্ন ধরনের জরিপে পরিসংখ্যানের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। বর্তমানে চাকরির বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি।প্রায় সকল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে Lecturer হিসেবে শিক্ষকতা করা যায়। যেকোন ইন্ডাস্ট্রিতে Quality Control এবং Manufacturing এর জন্য Product development এর কাজ করা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন IT Firm ও আন্তর্জাতিক অরগানাইজেশন গুলোতেও কাজের সুযোগ রয়েছে।
বায়োকেমিস্ট্রি
সাইন্সের অন্যতম একটি বিষয় হল বায়োকেমিস্ট্রি। বায়োকেমিস্ট্রি তে সাইন্স নিয়ে পড়লে কি হওয়া যায় তা অনেকেই এখনও জানেন না।তো চলুন জেনে নেওয়া জাক বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে পড়লে কি কি চাকরি পাওয়া যায়। যেমনঃ
- দেশি বিদেশি গবেষনা প্রতিষ্ঠান
- ঔষুধ কোম্পানি
- ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রি
- কসমেটিকস ইন্ডাস্ট্রি
- ডায়াগনস্টিক ল্যাব
- ফরেনসিক ল্যাব
- ফুড ইন্ডাস্ট্রি ইত্যাদি।
মাইক্রোবায়োলজি
এ বিষয়ে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং শৈবাল ইত্যাদি অনুজীব নিয়ে পড়ালেখা করা হয়। অনুজীবকে মানব জীবনের কাজে লাগানোর জন্য এই শিক্ষা অত্যান্ত প্রয়োজনীয়।যাদের গবেষনার আগ্রহ রয়েছে তারা বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে এবং ঔষুধ তৈরির কারখানায় এ বিষয়ে চাকরি করে থাকে।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা বায়োটেকনোলজি অত্যান্ত চাহিদা সম্পন্ন একটি বিষয়। বিভিন্ন অনুজীব এবং মানুষের অভ্যন্তরীণ বিষয় এছাড়াও জেনেটিক প্রতিস্থাপন নিয়ে গবেষনা করা হয় এ বিষয়ে।এতে প্রতিযোগিতা তূলনামূলক কম কিন্তু চাকরির ক্ষেত্রসমূহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেমনঃ
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- বিভিন্ন বায়োটেকনোলজি সাইন্স প্রতিষ্ঠান
- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং গবেষনা প্রতিষ্ঠান
- ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ইত্যাদি।
মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং
নৌপথে চলাচলের জাহাজকে কেন্দ্র করে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং এর আদ্যোপান্ত। মূলত মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং একটি বিশেষায়িত কোর্স।মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং এর মূল বিষয় হচ্ছে জাহাজ পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষন। এ বিষয়ে চাকরির ক্ষেত্রসমূহ হলঃ
- BIWTA
- ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড
- বিভিন্ন শিপবিল্ডিং কর্পোরেশন
- বাংলাদেশ নৌবাহিনী
- বিভিন্ন ডকইয়ার্ডে ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি।
নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং
পারমানবিক সরঞ্জাম তৈরি, রেডিয়েশন শিল্ডিং, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট এবং পারমানবিক দূর্ঘটনা প্রতিরক্ষা বিষয়ক শিক্ষা প্রদান করা হয় নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এ। নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরির ক্ষেত্রসমূহ হলঃ- শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট বিশেষজ্ঞ
- সরকারি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট গবেষক
- বহির্বিশ্বে চাকরিসহ শিক্ষকতা ইত্যাদি।
- ম্যাটেরিয়াল সাইন্স এড ইঞ্জিনিয়ারিং
এ বিষয়ে পড়লে সমগ্র বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবা, শক্তি, পরিবেশগত স্থায়িত্ব, খেলাধুলা, অটোমোবিক এবং এয়ারস্পেস সহ উন্নত চাকরির সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশে সাইন্স নিয়ে পড়ার ভবিষ্যত কি?
বাংলাদেশ সহ সমগ্র পৃথিবীতে বিজ্ঞানের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সাইন্স নিয়ে পড়ালেখা করলে ভবিষ্যতে ভাল চাকরি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এদেশে প্রায় প্রতিবছর হাজারো শিক্ষার্থী গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করে চাকরির খুঁজে নামছে।গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করা শিক্ষার্থী অনুযায়ী দেশে চাকরির সুযোগ বা ক্ষেত্রেসমূহ অনেক কম। তবে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী সঠিক বিষয় নির্বাচন করে কঠোর পরিশ্রম করতে পারলে অবশ্যই ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে।
এছাড়াও কিছু বিজ্ঞানের বিষয়ে উন্নত রাষ্ট্রে দক্ষ জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়। তাই সাইন্স নিয়ে পড়লে কি হওয়া যায় এবং ভবিষ্যত কেমন হবে তা আপনার উপর নির্ভর করছে।
চাকরি ছাড়া সাইন্স নিয়ে পড়লে কি হওয়া যায়?
সাইন্স নিয়ে পড়লে কি হওয়া যায়, এ প্রশ্নে মূলত আমরা কোন চাকরির কথা নির্দেশ করে থাকি। কিন্তু চাকরির বাজার খারাপ হওয়ায় সাইন্স নিয়ে পড়লে চাকরি ছাড়াও বিভিন্ন উদ্যোক্তা কিংবা ফ্রিল্যান্সার হয়েও কাজ করা যায়। যেমনঃ- নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং
- ফার্মাসিস্ট
- অনলাইনে স্বাস্থ্যসেবা
- রোবটিক্স নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং
- পরিসংখ্যানবিদ হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং
- আপনার বিষয়ে অনলাইন শিক্ষকতা বা কোর্স বিক্রি
- ব্যক্তিগত ক্লিনিকে মনোবিজ্ঞানী
- কম্পিউটার ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।
- সাইন্স নিয়ে পড়লে ডাক্তার
- ইঞ্জিনিয়ার
- পরিসংখ্যানবিদ
- রোবটিক্স ইঞ্জিনিয়ার
- মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার
- পদার্থবিজ্ঞানী
- কৃষি গবেষক
- ফার্মাসিস্ট
- ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ার
- কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার
- মেরিন ইঞ্জিনিয়ার
- রসায়নবিদ
- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার
- পরিবেশ বিজ্ঞানী
- প্রানী বিজ্ঞানী
- উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানী সহ ব্যাংকার ও শিক্ষক হওয়া যায়।
বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url