খুদে বার্তা কি - খুদে বার্তা লেখার নিয়ম

বর্তমানে ভাবের আদান প্রদানের ক্ষেত্রে একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র হয়ে উঠেছে খুদে বার্তা বা (SMS) শর্ট ম্যাসেজ। আপনি জানেন কি? এই খুদে বার্তা লেখার নিয়ম কানুন কি কি। বহুকাল থেকে মানুষ সাংকেতিক ভাষার মাধ্যমে পরষ্পরের সাথে মনের ভাব আদান প্রদান করতো। 
খুদে বার্তা
খুদে বার্তা
পর্বর্তীতে মনের ভাব প্রকাশ এর জন্য প্রচলন হয় ভাষার। আর এই ভাষা হয়ে উঠে মানুষের ভাব প্রকাশের একটি উত্তম মাধ্যম। তবে কাছে অবস্থান করা ব্যক্তির সাথে ভাবের আদান প্রদান করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। আর সেই থেকে মানুষ পরষ্পরের সাথে মনের ভাব আদান প্রদান করার জন্য বেছে নেয় ম্যাসেজ বা ক্ষুদে বার্তা।

ঠিক তখন থেকেই প্রচলন হয়েছে ক্ষুদে বার্তা কিংবা ম্যাসেজের। মানুষ হচ্ছে সামাজিক জীব। তাই সমাজবদ্ধ হয়ে থাকার জন্য মানুষকে পরষ্পরের সাথে মিশতে হয়। এবং পরষ্পরের সাথে মতো বিনিময় করতে হয়।

পরষ্পরের সাথে আমাদের মনের ভাবের আদান প্রদান অথবা ব্যক্তিগত জীবন কিংবা কর্মজীবনে ভাবের আদান প্রদান বিনিময় করে থাকি খুদে বার্তা অথবা ম্যাসেজের মাধ্যমে।

খুদে বার্তা লেখার নিয়ম?

খুদে বার্তা কিংবা ম্যাসেজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে তা কিন্তু নয়। বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বড় একটি অংশ হবার পাশাপাশি আমাদের শিক্ষাজীবন, কর্মজীবন কিংবা পড়াশোনার ক্ষেত্রেও কাজে লেগে থাকে এই ক্ষুদে বার্তা কিংবা ম্যাসেজ।

এমনকি এসএসসি (SSC) কিংবা এচএসসি (HSC) পরীক্ষাতেও আসে এই খুদে বার্তা। এজন্য আমাদের প্রত্যকেরই খুদে বার্তা লেখার নিয়ম জানা থাকা আবশ্যক। পরীক্ষার ক্ষেত্রে খুদে বার্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হিসেবে চলে আসে প্রায় বাংলা ব্যাকরণ বিষয়ে।

যারা স্কুল এবং কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থী রয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে বাংলা ব্যাকরণ কিংবা বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ক্ষেত্রে। প্রায় যে প্রশ্নটির দেখা পাওয়া যায়, তা হচ্ছে খুদে বার্তা লেখার নিয়ম নামক প্রশ্নটির। বেশিরভাগ সময়ে এই প্রশ্নটি ঘুরে ফিরে হাজির হয়ে থাকে শিক্ষার্থীদের সামনে। 

যেহেতু বিষয়টি বাংলা ব্যাকরণ তাই আপনি যদি কম কথায় অল্প লেখে প্রশ্নটির উত্তর দিয়ে থাকেন কিংবা নিয়ম মেনে না লেখে থাকেন। সেক্ষেত্রে আপনার পরীক্ষার নম্বর কম পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। 

তাই সবসময় চেষ্টা করবেন বিষয়টিকে গুছিয়ে খুব সুন্দরভাবে পরীক্ষার খাতায় উপস্থাপন করার। কারণ আপনার সঠিক উপস্থাপন কৌশলের উপর ভিত্তি করে স্যারেরা পরিক্ষার খাতায় নাম্বার দিয়ে থাকে।

খুদে বার্তা কি?

মূলত কোন বার্তাকে কোন প্রেরকের সামনে স্বল্প ভাষার মাধ্যমে উপস্থাপন করার কৌশলকে বলা হয়ে থাকে খুদেবার্তা বা ম্যাসেজ। সময়ের সাথে সাথে এটি হয়ে উঠেছে পরষ্পরের সাথে ভাবের আদান প্রদানের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি হাতিয়ার।

মূলত খুবই অল্প কথায় আপনি আপনার নিজের মনোভাব বা বার্তা উপস্থাপন করার কৌশলকে বলা হয়ে থাকে খুদেবার্তা। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন যে, আকার অন্যান্য বার্তা থেকে কিছু কম হতে পারে। তবে এটি লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ খানিকটা নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে। 

ঠিক কি কি কারণে আমরা কাউকে খুদে বার্তা প্রেরণ করে থাকি চলুন তা জেনে নেওয়া যাক। যেমনঃ
  • কাউকে শুভেচ্ছা জানানো
  • পরস্পরকে অভিবাদন জানানো
  • মতামতের আদান প্রদান
  • ব্যক্তিগত জীবনে খবরাখবর নেওয়া
  • কারো খুশিতে অংশীদার হওয়া
  • কৌশলাদি বিনিময়
  • ভাব বিনিময় করা ইত্যাদি।
এছাড়া আরও বিভিন্ন ধরণের কাজে আমরা পরষ্পরকে ক্ষুদে বার্তা প্রেরণ করে থাকি। কিন্তু আপনারা কি জানেন খুদেবার্তা প্রেরণের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক একটি খুদে বার্তা লেখার নিয়ম সম্পর্কে। যেমনঃ
  • অবশ্যই একটি বক্সের আকার করে নিতে হবে, কারণ ক্ষুদে বার্তা মোবাইল ফরম্যাটে আকারে লিখতে হয়।
  • ক্ষুদে বার্তা লেখার ক্ষেত্রে বার্তাটি সর্বোচ্চ তিন থেকে চার টি লাইন হতে হবে।
  • পরবর্তীতে প্রেরকের নাম লিখবেন।
  • আপনি যার কাছে বার্তা প্রেরণ করবেন সেই দেশের কান্ট্রি কোড যুক্ত করে মোবাইল নম্বর লিখে দিবেন।
  • সবশেষে পাঠানোর তারিখ ও সময় উল্লেখ করে দিবেন।
  • এভাবেই আপনি উপরের খুদে বার্তা লেখার নিয়মগুলো মেনে খুব সুন্দরভাবে একটি ক্ষুদে বার্তা লেখতে পারেন।
  • আমি আপনাদের সুবিধার্থে নিচে একটি খুদেবার্তার নমুনা সুন্দরভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
আশা করি আপনাদের নিয়মটি বুঝার ক্ষেত্রে নিচের উদাহরণটি আপনাদেরকে সাহায্য করবে।

খুদে বার্তা লেখার উদাহরণ?

প্রশ্নঃ

চাকররি অভিবাদন জানিয়ে বন্ধুকে একটি খুদে বার্তা অথবা ম্যাসেজ লেখ?

বার্তার শুরুতেই লেখবেন চাকরি পাওয়ার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা বন্ধু তোমাকে। শুনেছি নতুন চাকরি পেয়েছিস। আমি আশা রাখছি জীবনের নতুন অধ্যায়ে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে ভবিষ্যতের কর্ম পরিবেশে তুই নিজের একটি শক্ত অবস্থান তুলে ধরতে পারবি। তোর ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের সাফল্য কামনা করছি।

প্রেরক
মোঃ শাহজালাল ইসলাম
+৮৮০১৬৫০৩৮৮২…
গ্রহণ করেছেন
০৮.৩০
২৩.১০.২০২৩

ব্যক্তিগত জীবনে হউক না কেন, কর্মজীবনে হউক হউক না কেন, পড়াশোনার ক্ষেত্রে হউক না কেন আমাদের জীবনে চলার ক্ষেত্রে প্রয়োজন পরে পরষ্পরের সাথে ভাবের আদান প্রদান করার। আর আমরা পরষ্পরের সাথে খুব সহজে ভাবের আদান প্রদান করতে পারি খুদে বার্তা পাঠানোর মাধ্যমে।

অনেক সময় কাজের চাপে আমাদের ব্যক্তিগত অথবা মানসিকভাবে যখন উদ্বিগ্ন হয়ে উঠি তখন আমাদের বন্ধু বান্ধব, পরিবার পরিজন কিংবা কাছের মানুষটির সাথে ভাবের আদান প্রদান করে থাকি খুদে বার্তা অথবা ম্যাসেজের মাধ্যমে।

পরষ্পরের সাথে মতবিনিময় করার মাধ্যমে আমাদের এই কর্মজীবনে যেমন খানিকটা প্রশান্তি যোগায়। নানান ধরণের ঝামেলা কিংবা মানুষ বিপর্যয় এ আমরা খুদে বার্তা কিংবা ম্যাসেজের মাধ্যমে ভাবের আদান প্রদান করে থাকি। তবে খুদে বার্তা কিংবা ম্যাসেজের মাধ্যমে আমরা শুধুমাত্র ভাবের আদান প্রদান করে থাকি তা কিন্তু নয়। 

বরং সময়ের সাথে এই খুদে বার্তা কিংবা ম্যাসেজ হয়ে উঠেছে আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
পরিশেষে এই কথাটা মনে রাখবেন যে বিষয়ের উপর ক্ষুদে বার্তা লেখা হয়ে থাকুক না কেন, আপনাকে অবস্যই খুদে বার্তা লেখার নিয়ম অনুসরণ করে চলতেই হবে। 

আশা করি আজকের আর্টিকেলে আপনারা খুদে বার্তা লেখার নিয়মটি খুব সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন। এই নিয়মসমূহ অনুসরণ করে শিক্ষার্থীরা যদি পরীক্ষার আগত ক্ষুদে বার্তা লেখার নিয়ম প্রশ্নটির উত্তর প্রদান করে থাকে। তাহলে পূরণ নাম্বার অর্জন করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url